সুরের জাদুকর রাহুল দেব বর্মনের ১০টি কালজয়ী গান

ব্যক্তিগত জীবনকে পেছনে ফেলে গানের জগতে নমস্য এক নাম শচীন দেব বর্মনের পুত্র রাহুল দেব বর্মন।

June 27, 2020 | 3 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রবাদপ্রতিম সুরকার, অসামান্য ব্যক্তিত্ব, এইসব পরিচয় ছাপিয়ে তাঁর সৃষ্টি বারবার সামনে ফিরে এসেছে প্রতি জেনারেশনের হাত ধরে। ব্যক্তিগত জীবনকে পেছনে ফেলে গানের জগতে নমস্য এক নাম শচীন দেব বর্মনের পুত্র রাহুল দেব বর্মন। 

সঙ্গীতপ্রেমীদের মনের অন্দরে আজও ঘর করে পঞ্চমের সুর। আজ তাঁর ৮১তম জন্মদিনে বেছে নেওয়া তাঁর সৃষ্টির জাদুবেষ্টিত জনপ্রিয় দশটি গান:

১. মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে (পড়োসন, ১৯৬৮)

আর.ডি. বর্মন এবং কিশোর কুমারের যুগলবন্দী সবসময়ই ঝড় তুলেছে বলিউডের সঙ্গীতে। ‘পড়োসন’ ছবির ‘মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে’ গানটি তার একটি উদাহরণ। রাজেন্দ্র কৃষাণের কথায়, আর ডি বর্মনের সুরে এই গান আজও জনপ্রিয়। 

২. দম মারো দম (হরে রাম হরে কৃষ্ণ, ১৯৭১)

আশা ভোঁসলের কণ্ঠে ‘দম মারো দম’ পরিবর্তন এনেছিল জিনাত আমানের ভাবমূর্তিতে। আর ডি যে যুগের থেকে এগিয়ে ভাবতেন, সেটা আজ আর বলে দিতে হয় না। হিপ্পি সংস্কৃতির ভারতীয়করণের এই গান তাঁর সেরা কাজের অন্যতম।

৩. পিয়া তু, আব তো আজা (ক্যারাভান, ১৯৭১)

হেলেন, আর ডি বর্মন আর আশা ভোঁসলে। তাঁর অনন্য গানের রচনায় এই দুটি নাম বারবার এসেছে। হেলেনের নাচ, আশার কণ্ঠ, এবং আর ডি বর্মনের সুরের নতুনত্ব শ্রোতা-দর্শকের কান অনেকটাই তৈরী করে দিয়েছিল।

8. চুরা লিয়া হ্যায় (ইয়াদো কি বারাত, ১৯৭৩)

গিটার হাতে জিনাত আমান, আবার স্টিরিওটাইপ ভাঙলেন আর ডি। আশা ভোঁসলের গলায় মঞ্চ মাতালেন ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিল কো’ গানের সুরে। ‘ইয়াদো কি বারাত’ ছবির টাইটেল ট্র্যাকও আরএকটি মাইলস্টোন কাজ কিশোর-পঞ্চমের।

৫. মেহবুবা (শোলে, ১৯৭৫)

‘শোলে’ আজও এত যে বিখ্যাত, তার কারণ কিন্তু শুধু ঠাকুর বা গব্বর সিং নন। সমান ভাগীদার আর ডি বর্মনও। তখনকার সময়ে আইটেম নাম্বার যে এত অর্থবহ হতে পারে তা বোধহয় আর ডি-র সুর আর আনন্দ বক্সীর কথায় এই গান তৈরী না হলে কেউ ভাবতেন না।

৬. তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই (আন্ধি, ১৯৭৫)

শুধু ফিউশন নয়, ভারতীয় সঙ্গীতেও সমান যাতায়াত ছিল শচীন কর্তার কৃতী তনয়ের। ‘আন্ধি’ ছবির গান তাঁর সেই পারদর্শীতাকে সামনে আনে। কেবল আশা, কিশোর বা মান্না দে নয় – লতা, গুলজারের সাহচর্যও ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই’, ‘তুম আ গায়ে হো’-র মতো গানের জন্ম দিয়েছিল।

৭. তুম সাথ হো জব আপনে (কালিয়া, ১৯৮১)

হিন্দী ছবির রোম্যান্টিক গান মানেই তো আশির দশক। আর সেখানে আর ডি। এ তো সহজ সমীকরণ। তাই ‘কালিয়া’ ছবিতে পারভিন ববি এবং অমিতাভ বচ্চনের রসায়ন জমেছিল এই গানেই। কিংবা ‘ঘর’ ছবিতে গুলজারের লেখায় ‘তেরে বিনা জিয়া যায়ে না’ – রেখার সৌন্দর্য্য, অভিনয়কে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিল লতা মঙ্গেশকরের গলায় আর ডির এই কম্পোজিশন।

৮. প্যায়ার হমে কিস মোড় পে লে আয়া (সত্তে পে সত্তা, ১৯৮২)

আর ডি, কিশোর কুমার, ভূপিন্দর সিং, স্বপন চক্রবর্তী, গুলশন বাওরা – এতগুলো পাকা গলার খেলা এই গান। হিট না হয়ে উপায় আছে? এই ছবিরই ‘জিন্দেগী মিলকে বিতায়েঙ্গে’ বা ‘সত্তে পে সত্তা’ গানগুলি আজও আনন্দের সঙ্গে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

https://youtu.be/m6jwTl2-ML0

৯. তুঝসে নারাজ নহি জিন্দেগি (মাসুম, ১৯৮৩)

‘মাসুম’ ছবিতে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এই গানটি ছবির চরিত্রদের সমীকরণ স্পষ্ট করেছিল। সেই সঙ্গে গুলজারের কথায় পঞ্চমের এই গান আজও শ্রোতাদের ইমোশনের কোনও অজানা লক্ষ্যে নিয়ে যায় নিমেষে। শুধু এই গান নয়, নাসিরউদ্দিন ও শাবানা আজমি অভিনীত এই ছবির একের পর এক গান হিট: ‘হুজুর ইস কদর’ হোক বা ছোটদের ‘লকড়ি কি কাঠি’।

https://youtu.be/LZ_YUOr-tYw

১০. রুঠ না জানা (১৯৪২: আ লাভ স্টোরি)

সত্তরের দশক থেকে শুরু করে নব্বইয়ের জমানা পর্যন্ত, আর ডি-র করিশ্মা সমানভাবে অব্যাহত। আর তার প্রমাণ ‘১৯৪২: আ লাভ স্টোরি’। ‘রুঠ না জানা’ তো বাহানা মাত্র, এই ছবির প্রত্যেকটা গান সমানভাবে ঘর করেছিল শ্রোতাদের মনে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen