তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই জলপাইগুড়িতে জ্বরে আক্রান্ত ১২১ শিশু

কর্তৃপক্ষের দাবি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই বিভাগের কাজ চলছে।

September 12, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

জ্বরে আক্রান্ত ১২১ জন শিশুকে শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করানো হয়। রাতারাতি একসঙ্গে শতাধিক শিশু ভর্তি হওয়ায় তড়িঘড়ি ৩০ শয্যার আলাদা বিভাগ চালু করতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই শিশু বিভাগে জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় বাড়তে শুরু করায় উদ্বেগও বেড়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, করোনা পরীক্ষা করা হলেও এখনও পর্যন্ত ভর্তি থাকা শিশুদের কারও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ২০ শয্যার পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) চালু হয়নি। কর্তৃপক্ষের দাবি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই বিভাগের কাজ চলছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জ থেকে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই শিশু বিভাগে এক শয্যায় একাধিক শিশুকে রেখে চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে জ্বরে গুরুতর ভাবে আক্রান্ত ১২১ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৫০ শয্যার শিশু বিভাগ সংলগ্ন ঘর খুলে রাতেই ৩০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড খুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক ভাবে ভাইরাল ফিভার বলেই মনে হচ্ছে। জ্বর খুব দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। এক বড় অংশের শিশু জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাও করানো হবে আক্রান্তদের। জ্বরের সঠিক কারণ এখনই বলা সম্ভব নয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

ধূপগুড়ি থেকে আসা এক শিশুর আত্মীয় পিনুবালা রায় বলেন, ‘‘তিন দিন ধরে পাঁচ বছরের নাতির জ্বর। হাসপাতালে দেখানো হলেও জ্বর কমছে না। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবল জ্বরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। তার পরে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে এখানে পাঠানো হয়েছে।’’

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রাহুল ভৌমিক বলেন, ‘‘জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত ৩০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপর। প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen