করোনা লকডাউনের পর চাকরি যেতে পারে ১৩ কোটি মানুষের – জেএনইউ-র রিপোর্টে কাঁপছে দেশ

দেশজোড়া লকডাউনের ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে গোটা বিশ্ব। আর সেই ক্ষতির আঁচ এবার পড়তে চলেছে ভারতীয় বাণিজ্য ক্ষেত্রের ওপরও। দেশে চাকরি যেতে পারে প্রায় ১৩ কোটি মানুষের।

April 1, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

দেশজোড়া লকডাউনের ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে গোটা বিশ্ব। আর সেই ক্ষতির আঁচ এবার পড়তে চলেছে ভারতীয় বাণিজ্য ক্ষেত্রের ওপরও। দেশে চাকরি যেতে পারে প্রায় ১৩ কোটি মানুষের।

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘‌সেন্টার ফর ইনফরমাল সেক্টর অ্যান্ড লেবার স্টাডিজ’‌ বিভাগের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে তাই মাথায় হাত পড়েছে অসংখ্য মানুষের। এই বিভাগের অধ্যাপক সন্তোষ মেহোত্রা সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান সামনে এনেছেন। পাঞ্জাব সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক যযাতি কে পরিদাররের সঙ্গে করা যৌথ গবেষণায় তিনি দাবি করেছেন, ইনফরমাল সেক্টরে চাকরির পরিমাণ ৯০.‌৭ শতাংশ। এই গবেষণা অনুসারে দেশে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটির মতো। ২০১৭–১৮ সালে ৩ কোটি বেকারের সংখ্যা ছিল, মানে যা হিসাব করলে দাঁড়ায় ৪৭ কোটি মানুষ বিভিন্ন কাজে যুক্ত। এর প্রায় অর্ধেক, মানে ১৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ কৃষি ভিত্তিক নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে। মানে ৫০ শতাংশের অধিক মানুষ কৃষির বাইরে নানা কাজে যুক্ত। আর তাঁদেরই চাকরির নিশ্চয়তা সবচেয়ে কম। এদের বেশিরভাগের কোনও চাকরির নিশ্চয়তা নেই। কোনও নোটিস ছাড়াই এঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যেতে পারে। এদের মধ্যে বেশিরবাগ মানুষই নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

ইনফর্মাল সেক্টরে দেশে প্রায় ২৬ কোটি মানুষ কাজ করেন। বিভিন্ন উৎপাদন সংস্থা ও অন্য সংস্থায় তাঁরা কাজ করে থাকেন। এই কোম্পানিগুলির ওপরেও তৈরি হয়েছে বিপুল চাপ।

গবেষণা পত্রের সমস্ত হিসাব একত্র করলে যা দাঁড়ায়, তাতে ২ কোটি ৮০ লক্ষ লোকের উৎপাদন ক্ষেত্রে কোনও লিখিত চাকরিপত্র বা কনট্রাক্ট নেই। এছাড়া অন্য ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ৪ কোটি ৯০ লক্ষ এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ৫ কোটি ৯০ লক্ষ। এই মানুষগুলির হাতে হয়ত এরপর আর চাকরি থাকবে না, কারণ এঁদের বরখাস্ত করা সহজ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen