জিএসটি’র বকেয়া: প্রমাণ হল মোদী সরকার বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে
এবার কেন্দ্র সরকরা বাধ্য হল জুন মাসে রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণের তালিকা প্রকাশ করতে।

কেন্দ্রের প্রকাশিত তালিকা থেকেই প্রমাণিত হয়ে গেল, কেন্দ্রের মোদী সরকার বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল কেন্দ্র তাদের বকেয়া অর্থ দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে। শুধু তাই নয় ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের টাকাও আটকে রাখা হয়েছে। এই টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার সরব হতে দেখা গেছে। কিন্তু কেন্দ্রকে কোনও সদর্থক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
এবার কেন্দ্র সরকরা বাধ্য হল জুন মাসে রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণের তালিকা প্রকাশ করতে। তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলার প্রাপ্য বাকি রয়েছে ১,৬৩৭ কোটি টাকা। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির বকেয়া হিসাব জানতে চান। তারই জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া টাকার হিসাব প্রকাশ করে।
বাংলার এই হিসেব ছাড়াও দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজ্যগুলিরই বকেয়া সবচেয়ে বেশি। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যার নিরিখে বকেয়া অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় কম। তবে এই বিপুল অঙ্কের বকেয়া কবে রাজ্যগুলিকে মেটানো হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানায়নি কেন্দ্র।
সংসদের বাদল অধিবেশন জিএসটি ইস্যুতে তপ্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিরোধীরা জিএসটি ইস্যুতে যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাবে, তার ইঙ্গিত অধিবেশন শুরুর দিনই পাওয়া গেছে। এদিন একডজনের বেশি পণ্য ও পরিষেবায় জিএসটি বৃদ্ধি ও নতুন করে জিএসটি বসানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে কেন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সামনে এল।