কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

দুঃস্বপ্নের ভ্যাটে রঙের মেলায় অসংখ্য বাড়ি

January 13, 2020 | 2 min read

প্রায় ৪০ বছর! গাঙ্গুলিবাগানের কাছে বিদ্যাসাগর কলোনির ‘রিফিউজি, রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ডিপার্টমেন্ট’-এর বিঘা দেড়েক জমি ছিল এলাকাবাসীর ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভ্যাট। সেই জমিরই যাবতীয় ময়লা সাফ হয়ে, এখন সেখানে গড়ে উঠেছে পার্ক! ‘মাদার আর্থ থিম পার্ক’।

ছবি সৌজন্যেঃ পরিমল দে

অতীতে পচা দুর্গন্ধে জমি-লাগোয়া বাসিন্দারা দিনে-রাতে খুলতে পারতেন না ঘরের জানলা। যে পথে পা মাড়ানোর কথা ভুলেও ভাবতেন না বাসিন্দারা। আজ সেই পথই হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে, ‘মন-ভালো লাগার পথ’!

পার্কের বেশ কিছু অংশ জুড়ে জলাশয়। পাড়ে বাঁধা নীল বোট। বাকি অংশে সবুজের সমাহার। নানা বাহারের ফল-ফুল গাছ। লাল-নীল-হলুদ-সবুজ রঙের বাঁশ, সুদৃশ্য গোলাকার মাটির পাত্র। কোথাও বাঁশ-কাঠের সেতু। মাঠের মাঝে ভাস্কর্য ‘মাদার আর্থ’। পার্কের সবুজ ঘাসে চড়ে বেড়ায় রাজহাঁস। থিম পার্কের সঙ্গে রং মিলিয়েই, লাল-নীল-হলুদ-সবুজ রঙে রাঙানো পার্কের রাস্তা।

ছবি সৌজন্যেঃ পরিমল দে

পার্ক-লাগোয়া প্রায় ৪০-৪৫টি বাড়ি! রঙের মেলা ঘিরেই যেন গড়ে উঠেছ ‘বাটারফ্লাই ভিলেজ’! সকাল-সন্ধেতে সেখানে মিউজিক সিস্টেমে ভেসে আসে হাল্কা সুর। সন্ধে হতে জ্বলে বাহারি আলো। আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা এতে বেজায় খুশি। কিন্তু নিজেদের বাড়ি যে অন্যের পছন্দের রঙে সেজে উঠছে, তাতে কোনও আপত্তি নেই? প্রথমে অনেকেই রাজি ছিলেন না। কিন্তু যখন বুঝলেন সত্যিই সুন্দর একটা উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ হচ্ছে, তখন আর আপত্তি জানাননি কেউই।

ছবি সৌজন্যেঃ পরিমল দে

বছর সত্তরের ব্যবসায়ী পরিমলবাবুর উদ্যোগেই গড়ে উঠেছে এই পার্ক। সিঙ্গাপুরের থিম পার্কের আদলেই এই পার্ক গড়ার কথা মাথায় আসে ওনার। ভবিষ্যতে আরও বাড়ি রঙিন করে তোলার পরিকল্পনা ওনার। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ভ্যাট, #দুঃস্বপ্নের ভ্যাট, #ময়লা-আবর্জনা

আরো দেখুন