উত্তরে শকুনের সংখ্যাবৃদ্ধি, আশার আলো বনকর্মীদের
দুনিয়া জুড়ে যখন গভীর সংকটে ঝাড়ুদার পাখিরা, তখন ডুয়ার্সের আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে শকুনে উপস্থিতি আশা জোগাচ্ছে। বন দপ্তরের দাবি, কমপক্ষে ২০ বছর পর ডুয়ার্সের আকাশে শয়ে শয়ে শকুন ডানা মেলতে শুরু করেছে।
কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে, মহানন্দা অভয়ারণ্যের বাগরাকোট এলাকায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডুয়ার্স রুটে রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২৫০টিরও বেশি শকুন দেখতে পাবেন। প্রাকৃতিক পরিবেশে এতগুলি শকুনের উপস্থিতি যে শকুন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সদর্থক লক্ষণ, তা মেনে নিয়েছেন সকলেই।

রাজ্যের একমাত্র শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্র রাজাভাতখাওয়া থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর রেডিও অপারেটেড ট্রান্সফরমার ট্যাগ লাগিয়ে ছয়টি হিমালয়ান গ্রিফনকে পরীক্ষামূলক ভাবে আকাশে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে গবেষকরা তাদের গতিবিধি নিয়ে দৈনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন।
এছাড়াও বেশ কিছুদিন ধরেই মালবাজার ও ওদলাবাড়ি এলাকায় মাঝেমধ্যেই শকুনের উপস্থিতি টের পাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তরের আকাশে আবার যে শকুনরা ফিরে এসেছে, তাতে বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য আরও সমৃদ্ধ হবে।