লোক দেখানো আহ্বান নয়, বাস্তবটা বুঝুন – মোদীর মোমবাতি জ্বালানোর আবেদনকে কটাক্ষ বিরোধীদের
করোনা ভাইরাসের অন্ধকারময় পরিস্থিতি কাটাতে রবিবার রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটের জন্যে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে রাস্তায় বেরিয়ে নয়, দেশবাসীকে যার যার ঘরের বারান্দা বা দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েই ওই আলো জ্বালানোর অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর নরেন্দ্র মোদীর এই আহ্বানকেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ, কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং চিদাম্বরম সহ বিরোধীরা। লকডাউন চলাকালীন এই ধরণের আহ্বান শুধুই লোক দেখানো, এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।
শুধু চিদাম্বরমই নন, প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের বিরুদ্ধে টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেসের আরেক নেতা শশী থারুরও। নরেন্দ্র মোদী লোক দেখানোয় বিশ্বাসী, ঘুরিয়ে এমনটাই বলতে চাইলেন তিনি। ‘প্রধান শোম্যানের কথা শুনলাম। কীভাবে মানুষের কষ্ট, বোঝা, তাদের আর্থিক উদ্বেগ কমিয়ে আনা যায় সে সম্পর্কে কিছুই বললেন না তিনি।
ভবিষ্যতের কোনও দৃষ্টিভঙ্গি বা লকডাউন-পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে তিনি যে বিষয়গুলি বিবেচনা করছেন সেগুলিও শেয়ার করলেন না তিনি, ভারতের ফটো-ওপি প্রাইমমিনিস্টার শুধু ফিল গুড ফ্যাক্টর নিয়েই থাকতে চান!’, টুইটে মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন থারুর।
আগামী রবিবার রাতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে দেশের একতা প্রমাণের বার্তা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কটাক্ষেরও শিকার হলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘বাস্তবটা বুঝুন’, মোদীকে উদ্দেশ্য করে টুইট করলেন ওই তৃণমূল সাংসদ। বাদ যাননি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। দেশ লকডাউনের কারণে আর্থিক ভাবে ধুঁকছে, এই সময় দেশের আর্থিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনাচিন্তা করার জন্যেই নরেন্দ্র মোদীকে পরামর্শ দিলেন তিনি।