দেশ বিভাগে ফিরে যান

লকডাউনের ত্রিপুরায় চাকরি গেল প্রায় ১০ হাজার শিক্ষকের! প্রতিশ্রুতিভঙ্গ বিজেপির

April 4, 2020 | 2 min read

গোটা দেশ করোনার আক্রমণে বিপর্যস্ত। দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করতেই মানুষের দফারফা অবস্থা। কঠিন এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরাতে চাকরি খোয়ালেন প্রায় ১০ হাজার স্কুল শিক্ষক। ফলে প্রবল চাপের মুখে সেখানকার বিজেপি সরকার। দেশব্যাপী এই চরম সংকটের মাঝেই ৮৮৮২ জন শিক্ষককে এককালীন ৩৫,০০০ টাকা দিয়ে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

দু’বছর আগে সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সময় এই শিক্ষকদের চাকরির পাকাপাকি বন্দোবস্ত করা হবে বলে বিজেপি তাদের ভিশন ডকুমেন্টে জানিয়েছিল। এখন অবশ্য ত্রিপুরায় সেই দলের সরকারের কাছে ওই শিক্ষকরাই ‘পাপের বোঝা’ অথবা ‘ভুলের বোঝা’। এই ‘বোঝা’ নিয়ে ত্রিপুরা বিজেপি যে দিশাহীন ছিল, তা বোঝা যাচ্ছে ওই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের বক্তব্যে। তিনি বলছিলেন, ‘সিপিএমের ভুলের বোঝা আমাদের বইতে হচ্ছে। আপনারাই বলে দিন আমরা কী করব? ওই শিক্ষকদের চাকরিতে রেখে আমি অন্তত জেলে যেতে পারব না।’ সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী আগামী বছরের মার্চের পর এই শিক্ষকদের আর চাকরি থাকবে না। বাস্তবে ঘটলও তাই।

বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোটের আগে ভিশন ডকুমেন্টে এই শিক্ষকদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে বলে নির্বাচনে তাঁদের আস্থা অর্জন করেছিল গেরুয়া শিবির। দু’বছর বাদে ঠিক এই ইস্যুতে উল্টো অবস্থান কেন? এতগুলো মানুষের চাকরি যাওয়ার অর্থ হল তাঁদের পরিবারকেও কার্যত রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া। তাও আবার এই লকডাউনের সময়।

আগরতলা শহরে দীর্ঘ আন্দোলন, মহাকরণ অভিযান, রাস্তা অবরোধ করেও চাকরি খোয়াতে বসা শিক্ষকরা পুলিশের বলপ্রয়োগ ছাড়া আর কিছু আদায় করে নিতে পারেননি। আগরতলায় বিশাল সমাবেশ করে এই শিক্ষকদের বিকল্প চাকরির দাবি করে সিপিএমের গণসংগঠনগুলি। বর্তমানে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেছিলেন, ‘শুধু এই শিক্ষকদের সংখ্যা ধরলেই হবে না। ধরতে হবে তাঁদের পরিবারকেও। ৫০-৫৫ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন। এঁদের কোনও অপরাধ ছিল না।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#indian, #tripura, #los jobs, #teachers

আরো দেখুন