করোনা রুখতে ৪৯ দিনের লকডাউন প্রয়োজন
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই মুহূর্তে। এমন কী ভারতেও সেই লড়াই চলছে বর্তমানে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন সারা দেশজুড়ে। কিন্তু এই লকডাউন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের মত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসকে আটকানোর জন্য ২১ দিনের লকডাউন যথেষ্ট নয়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কমসে কম ৪৯ দিনের জন্য লকডাউন করলে তবেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকানো যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
কিন্তু কেন ২১ দিনের লকডাউন যথেষ্ট নয় তাও পুরোপুরি অংক কষে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এবং দেখিয়ে দিয়েছেন যে কমসেকম ৪৯ দিনের লকডাউন প্রয়োজন করোনা ভাইরাস কাটানোর জন্য। দুই গবেষণা কেন্দ্র এ সম্পর্কে মত প্রকাশ করেছেন। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে করোনা রুখতে লকডাউন ছাড়া এই মুহূর্তে আর অন্য কোন পথ নেই সরকারের কাছে। এবং তাও আবার ২১ দিনের লকডাউন যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন তারা।
ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথমেটিক্যাল সাইন্স এবং ইউনিভর্সিটি অফ ক্যামব্রিজ নামের চেন্নাইয়ের এই দুই সংস্থা জানিয়েছেন করোনা ভাইরাস রুখতে লকডাউন হচ্ছে খুবই কার্যকরী পদক্ষেপ। কিন্তু এর জন্য ২১ দিনের সোশ্যাল ডিসটেন্স যথেষ্ট নয় কমসেকম দেড় থেকে দুই মাস লকডাউন পালন করা হয় তাহলে এই মরণ ভাইরাসকে আটকানো সম্ভব।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, ২১ দিন লকডাউন নয়, তিন দফায় মাস দুয়েকের মতো লকডাউন রাখতে হবে গোটা দেশকে। ২১ দিনের পর পাঁচ দিনের মতোন বিরতি দেওয়া হোক এবং তারপর আবার ২৮ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হোক।
এরপর আবার পাঁচ দিনের বিরতি দেওয়া হোক তারপর আবার ১৮ দিনের লকডাউন। সরকার যদি এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে চলে তাহলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকানো সম্ভব।বিশেষজ্ঞরা করোনা ভাইরাসকে ঠেকানোর জন্য আরও একটি পরামর্শ দিয়েছেন যা হলো, একেবারে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন না রেখে একটানা যদি ৪৯ দিনে লকডাউন রাখা যায় তাতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকানো যাবে। ৪৯ দিনের লকডাউন যদি ঘোষণা করা হয় তাহলে ভারতের প্রথম এবং প্রধান সমস্যা হল অর্থনৈতিক পরিকাঠামো।
ভারতের মতো এত বড় দেশে কী ৪৯ দিনে লকডাউন রাখা সম্ভব হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।অনেকেরই আশঙ্কা, তখন করোনা ভাইরাসকে আটকাতে গিয়ে না অনাহারে মারা যায় মানুষ।তবুও ভারতকে চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে কারণ এছাড়া করোনার মতো মহামারী কে আটকানো খুবই কঠিন। লকডাউন বাড়ানোর সাথে সাথে গরিব-দুঃস্থদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। করোনা রুখতে সারা দেশে যাতে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে সরকারকে।