পাঁচ বলিউড তারকা যারা বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লক্ষ লক্ষ মানুষকে আকর্ষিত করে বলিউড। কিন্তু খুব কম মানুষই এই স্বপ্নের উড়ান উড়তে সুযোগ পান। আর তার থেকেও কম মানুষ পারেন স্টারডাম ধরে রাখতে। সব অভিনেতার জীবনেই ওঠা নামা আছে। কিছু তারকা নিজের এই রূপোলী পর্দার জীবনকে বিদায় জানিয়ে অন্য পেশাকে বেছে নিয়েছেন এবং সেই জীবনে তারা আজ যথেষ্ট সফল।
টুইঙ্কল খান্নাঃ
১৯৯৫ সালে বারসাত ছবির মাধ্যমে টুইঙ্কলের বলিউডে পদার্পণ।বাদসা, লাভ কে লিয়ে কুছভি কারেগা, ইয়ে হ্যায় মুম্বাই মেরি জানের মতো বেশ কিছু হিট সিনেমার পর ২০০১ সালে টুইঙ্কল বলিউড ছেড়ে দেন। এখন টুইঙ্কল অত্যন্ত সফল লেখিকা, ছবির প্রযোজক, ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার এবং লেখক।
সোহা আলি খানঃ
সোহা বলিউডে তার যাত্রা শুরু করেন ২০০৪ সালে দিল মাঙ্গে মোর দিয়ে। খোয়া খোয়া চাঁদ, রং দে বাসন্তী, তুম মিলে, ৯৯ তে তার কাজ যথেষ্ট প্রশংশিত হয়েছেন। ২০১৫ সালে অভিনেতা কুনাল খেমুকে বিয়ের পরেই বলিউডকে বিদাই জানান সোহা। তারপর নিজের লেখক সত্ত্বাকে আবিষ্কার করেন তিনি। তার লেখা ‘দ্য পেরিলস অফ বিং মডারেটলি ফেমাস’ বইটি যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে।
ডিনো মোরিয়া:
ডিনো মোরিয়া তার কেরিয়ার শুরু করে মডেলিং দিয়ে। তারপর পেয়ার মে কাভি কাভি সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পদার্পণ। রাজ সিনেমায় খানিকটা সাফল্য পেলেও বলিউডে তার পাকাপোক্ত জায়গা কখনই তৈরি হয়নি। তাই সেসব ছেড়ে এখন তিনি মুম্বাইয়ে রেস্টুরেন্ট চেইনের মালিক।
প্রীতি জিন্টাঃ
বলিউডের সর্বকালের চনমনে এই সুন্দরী দিল সে ছবি দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। ভীর জারা, দিল চাহাতা হ্যায়, কাল হো না হো, কোই মিল গ্যায়ার মতো একে পর এক হিট সিনেমার পরও বলিউড ছেড়ে দেন প্রীতি। এখন তিনি আইপিএলের অন্যতম দল কিংস ১১ পাঞ্জাবের মালকিন। তাছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার টি ২০ গ্লোবাল লিগের ক্রিকেট টিম স্টেলেনবস কিংসের যৌথ মালিকানাও আছে তাঁর।
কুমার গৌরবঃ
লাভ স্টোরি ১৯৮১ র মতো হিট ছবি দিয়ে বলিউডে প্রবেশের পরেই অত্যন্ত সম্ভবনাময় অভিনেতা হয়ে উঠেছিলেন কুমার গৌরব। কিন্তু এই রূপোলী জগতে বেশি দূর এগোয়নি তাঁর কেরিয়ার। সেখানে বেশি সময় নষ্ট না করে তিনি অন্য পেশা বেছে নেন। এখন মালদ্বীপে ভ্রমনের ব্যাবসায় তিনি যথেষ্ট সফল।