রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যজুড়ে ৯৯ শতাংশকে মিড ডে মিল,অঙ্গনওয়াড়িতে খাদ্য পেল ১০২ শতাংশ

May 5, 2020 | 2 min read

লকডাউনে খাদ্যসামগ্রী বণ্টন প্রক্রিয়ায় সাফল্য পেল রাজ্য সরকার। শিক্ষা দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে প্রায় ৯৯ শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে। গতবারের চেয়ে যা সাত শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, ১০২ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি উপভোক্তার (গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলা এবং ছ’মাস থেকে ছ’বছরের বাচ্চা) কাছে খাবার পৌঁছেছে। এক্ষেত্রেও গতবারের চেয়ে দু’ শতাংশ বেড়েছে।

প্রথম পর্যায়ের লকডাউন শুরুর দিন (২৩ মার্চ) স্কুলগুলিতে খাদ্যসামগ্রী বিলির কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছিল। শিক্ষা দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, সেবার রাজ্যে ৯২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিল পেয়েছিল। এবার সেই হার বেড়েছে। ফলে এ নিয়ে স্বস্তি বোধ করছেন দপ্তরের কর্তারা। 

দ্বিতীয় দফায় ২০ থেকে ৩০ এপ্রিল চাল ও আলু বণ্টন করা হয়েছে। তা সংগ্রহ করার জন্য অনেকটাই সময় পেয়েছেন অভিভাবকরা। তাতেই এই হার বেড়েছে। আরেক কর্তার মতে, স্কুলগুলি ভালো কাজ করেছে। এক দফা বণ্টনের পর আবার অভিভাবকদের খবর দিয়েছে তারা। যাঁরা প্রথমদিকে নিতে আসতে পারেননি, তাঁদের আসতে বলা হয়েছে। এভাবে অনেকেই প্রথমে না এলেও পরের দিকে এসেছেন।

কয়েকটি স্কুলের পরিসংখ্যান বলছে, এবার খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহের হার অনেকটাই বেড়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একাধিক বড় স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মত, প্রথমবার গড়ে ৪০-৪৫ শতাংশ বাবা-মা খাবার নিতে এসেছিলেন। সেই হার প্রায় ৮৫-৯২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকী রেড জোনে থাকা পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও করোনার আতঙ্ক বুকে নিয়ে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেছেন। 

তবে রেড জোনের কয়েকটি অঞ্চলের কয়েকজন পড়ুয়ার অভিভাবক অবশ্য খাদ্যসামগ্রী নিতে আসেননি। সেই সংখ্যা খুব বেশি হবে না বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। আপাতত সেই পড়ুয়াদের সংখ্যা সংগ্রহ করার কাজ চলছে। ৩ মে’র পর পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তার উপর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

এদিকে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতেও খাদ্যসামগ্রী বণ্টনের হার বেশ ভালো। দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ এপ্রিলের মধ্যেই অধিকাংশ জেলায় ১০০ শতাংশ ও তার বেশি উপভোক্তার কাছে চাল-ডাল ও আলু পৌঁছে গিয়েছে। যদিও বণ্টনের শেষ দিন ছিল ৩০ এপ্রিল। 

বেশ কিছু জেলায় উপভোক্তার সংখ্যা যা ছিল, তার তুলনায় অনেক বেশি মানুষ এসে লাইন দিয়েছিলেন একটু খাবারের জন্য। তাঁদের কাউকেই খালি হাতে ফেরানো হয়নি। সেকারণেই লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়েছে পরিসংখ্যান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #mid Day Meal, #anganwadi

আরো দেখুন