পশ্চিমবঙ্গ সরকার বর্তমান শ্রম আইন পরিবর্তন করবে না: মমতা
লকডাউনে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মতো পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনওভাবেই বর্তমান শ্রম আইন পরিবর্তন করবে না বলে স্পষ্ট জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ওই সমস্ত রাজ্যের বিজেপি সরকারকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইনের বিধিমালা পরিবর্তন করে শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তা বিপর্যস্ত করা হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাস থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি পাওয়া যাবে না এবং গ্রামীণ বাংলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করার মধ্যে এই রাজ্যের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন নির্ভর করছে।’
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে শ্রম আইন পরিবর্তন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যে শ্রম আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। শ্রমিকদের আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। কিন্তু তাঁরা মজুরি কম পাবেন। এমনকি, তাঁদের কাজের নিরাপত্তা থাকবে না। সুতরাং, আমরা কখনই এধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করব না। আমরা বর্তমান শ্রম আইনকে অনুসরণ করব। পাশাপাশি পরিয়ায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে এনে এরাজ্যে কাজের সুনিশ্চিত বন্দোবস্তের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বলেন, ‘তাঁদের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের আওতায় আনা যেতে পারে।’
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘রাজ্য সম্পূর্ণরূপে খুব শীঘ্রই ১০০ দিনের কাজ পুনরায় শুরু করা যেতে পারে। যেখানে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ববিধি পালন করে লকডাউনের কারণে কাজ হারানো মানুষজনকে একাজে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি মনে করি রাজ্যের অর্থনীতির পুনর্জাগরণ গ্রামীণ বাংলায় রয়েছে। তাই আমাদের পল্লী অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যা আগামীদিনে পুরো দেশের জন্য রোডম্যাপ হবে।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। আমরা এটিকে কাটিয়ে উঠব। তবে এই রোগের কারণে জীবন থেমে যেতে পারে না।’
অন্যদিকে, হুগলিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিজেপি নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে ‘উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁদের কড়া সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে সংর্ষের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশকর্মীদের অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশৃঙ্খলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।’