জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

করোনা ঠেকাতে হাই-প্রোটিন ডায়েট এবং ব্যায়ামের পরামর্শ প্রসূতিদের

May 26, 2020 | < 1 min read

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে সাতজন, মেডিক্যাল কলেজে দু’জন, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে তিনজন, সঞ্জীবন হাসপাতালে একজন। করোনা পর্ব যতই দীর্ঘায়িত হচ্ছে, প্রসূতিদের মধ্যে সংক্রমণও বাড়ছে। কপালের ভাঁজ বাড়ছে স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশারদদেরও। 

ভাবী মায়েদের মধ্যে সংক্রমণ এড়াতে এবং তারপরও তাঁরা সংক্রামিত হলে কী করণীয়, তা নিয়ে বিস্তারিত সরকারি গাইডলাইন ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিসেফের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা এ নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে কই? 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উল্লেখযোগ্যভাবে ৯০ শতাংশের বেশী ক্ষেত্রে কোভিড আক্রান্ত প্রসূতিদের কোনও উপসর্গ ছিল না। সিজার বা সাধারণ প্রসব হওয়ার পর কারওক্ষেত্রে জ্বর, কারও কাশি, কারও শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বেশ কয়েকটি হাসপাতালে দেখা গিয়েছে, গাইনি বিভাগই সংক্রমণের উৎস। উপসর্গ না থাকায় সকলে নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরে অপারেশনে না নামায় একের পর এক স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক পজিটিভ হয়েছেন। অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে ওয়ার্ড, লেবার রুম, ওটি।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং পিজি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের অধ্যাপক বলেন, আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, সুগার, হার্টের অসুখ, ক্যান্সারের মতো রোগে যেমন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে, একইভাবে গর্ভধারণের সময়ও মায়েদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একে ‘ইমিউনো কম্প্রোমাইজড’ অবস্থা বলা হয়। ফলে সতর্কতা না নিলে সহজেই সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

ওনার পরামর্শ, গর্ভাবস্থায় মন ভালো রাখুন, ভালো বই, গান শুনুন, সিনেমা দেখুন, স্ট্রেস বাড়তে দেবেন না। অবশ্যই হাঁটাচলা করুন। পারলে রোজ নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ কাজের হতে পারে। আর হাই প্রোটিন ডায়েট খান। মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মানা তো আছেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #covid19, #corona prevention, #pregnant women, #pregnant

আরো দেখুন