ওষুধপট্টিতে কঠোর পুলিশ
আনলক ওয়ানের প্রথম দু’দিনই শহরের যে সব জায়গায় খুব বেশি ভিড় ও যানজটের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ববিধি লঙ্ঘনের ছবি উঠে আসছিল, তার অন্যতম বড়বাজারের ওষুধপট্টি। বিশেষ করে ক্যানিং স্ট্রিট ও মেহতা বিল্ডিং ঘিরে গাড়ি ও মানুষের ভিড় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে যানবাহন ও মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে গুচ্ছ পদক্ষেপ করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে চারটি পয়েন্ট দিয়ে ক্যানিং স্ট্রিটে ঢোকা যায়, সেই চারটি জায়গাতেই পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে, যাতে ওষুধ আনা-নেওয়ার জন্য ছোট মালবাহী গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন সেখানে ঢুকতে না-পারে। ক্যানিং স্ট্রিট ও রবীন্দ্র সরণি ক্রসিং, ক্যানিং স্ট্রিট ও ব্রেবোর্ন রোড ক্রসিং, এজরা স্ট্রিট ও ম্যানুক লেন ক্রসিং এবং পোলক স্ট্রিট ও ম্যানুক লেনের ক্রসিংয়ে একজন এসআই ও এক এএসআইয়ের নেতৃত্বে একটি করে পুলিশের টিম থাকছে। বাইরে থেকে কোনও গাড়ি ঢোকার সময় সেটা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। শুধুমাত্র ওষুধ আনা-নেওয়ার জন্য গাড়ি ঢুকছে, নিশ্চিত হলে তবেই সেই গাড়ি ওই রাস্তায় ঢুকতে পারবে।
পাশাপাশি লকডাউন পর্বে ওষুধ পরিবহণের গাড়িগুলি যত্রতত্র বিভিন্ন রাস্তায় পার্ক করা থাকছিল। সেটা আনলক ওয়ান পর্বেও চালু থাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। এখন থেকে যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ করা হচ্ছে। রবীন্দ্র সরণি, পোলক স্ট্রিট ও ব্রেবোর্ন রোডের একাংশ ছাড়া অন্যত্র পার্কিং করা যাবে না। পাশাপাশি মেহতা বিল্ডিং বা তার আশপাশে ডালা বসিয়ে ব্যবসাও আপাতত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বাড়তি ভিড় এড়াতে। ওষুধপট্টির আর এক অংশ বাগরি মার্কেট চত্বরে পরিস্থিতি তুলনায় ভালো বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।