রানিগঞ্জে শুরু হবে শেল গ্যাস উত্তোলন
রানিগঞ্জে ভূগর্ভস্থ শেল গ্যাস উত্তোলনের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র পেয়েছে গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি কর্পোরেশন লিমিটেড। চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই তারা শেল গ্যাস উত্তোলনের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। এর জন্য বিভিন্ন ভেন্ডরের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে সংস্থাটি। মূল কূপগুলি থেকে যে গ্যাস পাওয়া যাবে তা বিশ্লেষণ করার পর পূর্ণ মাত্রায় শেল গ্যাস উত্তোলন ও উৎপাদন করতে পদক্ষেপ করবে তারা। এ জন্য উৎপাদনের পাইলট স্তরে নির্দিষ্ট সংখ্যক কুয়ো খোঁড়ার পরিকল্পনা করেছে গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি। গত বছর বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি রানিগঞ্জে শেল গ্যাস উত্তোলন ও উৎপাদনে ১৫,০০০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা করেছে।
সংস্থার হাতে থাকা রানিগঞ্জ (দক্ষিণ) ব্লকে ৯.২৫ লক্ষ কোটি ঘন ফুট শেল গ্যাস ও ভূগর্ভস্থ কয়লা স্তরে থাকা মিথেনের (সিবিএম) সঞ্চয় রয়েছে। এর মধ্যে ৬.১৩ লক্ষ কোটি ঘন ফুট শেল গ্যাস ও বাকিটা সিবিএম। গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও প্রশান্ত মোদী বলেন, ‘রানিগঞ্জে আমাদের শেল গ্যাস প্রকল্প অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। বাকি সমস্ত অনুমোদন পেয়ে গেলে আমরা এ বছরই প্রকল্প শুরু করে দেব। আমাদের সংস্থার জন্য সেটা হবে আরও একটি অসাধারণ বৃদ্ধির সুযোগ।’ গত অর্থ বছরে সংস্থাটি গড়ে প্রতি দিন রানিগঞ্জ ব্লক থেকে ১৫.৬২ মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড ঘন ফুট সিবিএম উৎপাদন করেছে।
ডিসেম্বরের মধ্যে গেইল-এর ‘জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা’ গ্যাস পাইপলাইন চালু হয়ে যাওয়ার কথা। এই পাইপলাইনটি চালু হয়ে গেলে রানিগঞ্জে তাদের উৎপাদিত সিবিএম এবং শেল গ্যাস, দুটোই রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় সরবরাহ করতে পারবে গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি। এই পাইপলাইন মারফৎ গ্যাস সরবরাহের মাসুল প্রতি মেট্রিক মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) হিসাবে ৭১ টাকা ৮ পয়সা (জিএসটি সহ) নির্ধারিত হয়েছে। তবে পাইপলাইন চালু হওয়ার আগেই ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে রানিগঞ্জ ও আসানসোলে উৎপাদিত সিবিএম কলকাতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে গেইলের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন।