আবাসনে করোনা ঠেকাতে পুরসভা ও পুলিশের যৌথ দল
করোনায় কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে এই মুহূর্তে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শহরের বহুতলগুলি। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই সব আবাসন এবং বাজারে নজরদারিতে এ বার যৌথ দল গড়ল কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ। বর্তমানে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১১৬৩। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিদিন আক্রান্তদের যে পরিচয় জানা যাচ্ছে, তাঁদের বড় অংশই আবাসনের বাসিন্দা। পুরসভার একাধিক পদক্ষেপের পরেও আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে না। তাই মাইক্রোপ্ল্যানিং আরও জোরদার করে অতি-স্পর্শকাতর জোনগুলির জন্য পুলিশ এবং পুরসভার যৌথ উদ্যোগে ৭০০ জনের দল তৈরি করা হয়েছে।
ভবানীপুর, বালিগঞ্জ, কসবা, গল্ফগ্রিন, কালিকাপুর, গোপালনগর, গার্ডেনরিচ-সহ বেশ কিছু নির্দিষ্ট এলাকার আবাসনে উত্তরোত্তর সংক্রমণ বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারাও চিন্তিত।
এ সব অতি-স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশ এবং পুরসভার যৌথ দল এখন থেকে নজর রাখবে। মূলত সচেতনতা বৃদ্ধির কাজের পাশাপাশি করোনা থেকে বাঁচতে কী করণীয়, বহুতলগুলিতে গিয়ে বোঝাবেন এই দলের সদস্যরা। কোন আবাসনে কে বা কারা নিয়মিত আসা-যাওয়া করছেন, সে খোঁজ রাখার পাশাপাশি আবাসন কমিটিগুলির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে চলবে খোঁজখবর, নজরদারি।
পাশাপাশি এলাকার বাজারগুলিতে আরও বেশি করে নজর রাখা হবে। বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সোয়াব বা লালারসের নমুনা পরীক্ষা এবং নিয়মিত বাজার জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলবে। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘নির্দিষ্ট কিছু এলাকাতেই সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। মাইক্রোপ্ল্যানিং অত্যন্ত সিরিয়াস ভাবে করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ নিজে না সচেতন হলে কোনও প্রক্রিয়া সাফল্য পায় না। নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি।’