রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ থাকলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান: মমতা

June 18, 2020 | 2 min read

ত্রাণ বা অন্যান্য সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হলে, সরাসরি স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করার বিধান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রের উপর ছেড়েছেন তিনি। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, অভিযোগ সঠিক হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন তিনি নিজেই।

আম্পান-বিপর্যয়ের পরে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একগুচ্ছ সরকারি সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তার মধ্যে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ২০ হাজার করে টাকা, চাষিদের এবং পানের বরজের মালিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ, ইত্যাদি। কিন্তু আসল উপভোক্তার হাতে সেই সব সরকারি সুবিধা না পৌঁছনোর অভিযোগ উঠেছে। আবার সরকারি সহযোগিতা পেতে কোথাও কোথাও উপভোক্তাকেই কিছুটা গাঁটের কড়ি খরচ করতে হচ্ছে—এমন অভিযোগও এসেছে। সেই সব অভিযোগ প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে যে পৌঁছচ্ছে, এ দিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। 

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আম্পান দুর্যোগ মোকাবিলা তাড়াতাড়ি করতে পেরেছি। সবটা পারিনি হয়তো, কিন্তু ৯০ শতাংশ পেরেছি। একটা কথা আপনাদের মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষকে বলি, যাঁরা এই রিলিফ পাচ্ছেন, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেই সরাসরি টাকাটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে। এই টাকাটা পেতে কারও কাছে যাওয়ার বা তদ্বির করার দরকার নেই। এটার জন্য কাউকে একটা পয়সা দিয়ে কারও কাছ থেকে ফর্মও কিনতে হবে না। কারও কাছ থেকে সাহায্য চাইতে হবে না। এটা প্রশাসনই করে দেবে। যদি দেখেন কোনও মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা সরাসরি স্থানীয় থানায় একটা চিঠি দেবেন। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া থাকছে, তেমন কোনও চিঠি পেলে তারা আমার কাছে পাঠাবে। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে, সে রেশন নিয়েই হোক, সে রিলিফ নিয়েই হোক স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান।’’

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি , ত্রাণ-পুনর্গঠনে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রিম হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। ত্রাণ তহবিলেও তেমন অর্থ জমা পড়েনি। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ নিয়ে যে সব অভিযোগ থানায় জমা পড়বে, পুলিশকে সেগুলি যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ সঠিক হলে আমি দেখে দেব। সহযোগিতাও তেমন পাইনি। সিএসআর ফান্ড করেছিলাম। ৩০-৩২ কোটি টাকার বেশি আসেনি সেখানে। কেন্দ্র অগ্রিম হিসেবে একটা অংশ দিয়েছিল। সেটা নিয়েও রাজনীতি চলছে।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #relief materials, #relief distribution, #Amphan Super Cyclone

আরো দেখুন