ভ্রমণ বিভাগে ফিরে যান

বর্ষায় ঘুরে আসুন গাছবাড়ি থেকে 

June 29, 2020 | < 1 min read

বর্ষায় প্রকৃতি বিভিন্ন রূপে সেজে ওঠে পুরুলিয়ার মাঠাবুরু পাহাড়ে। তাই আনলক ওয়ানে পর্যটক টানতে বনদপ্তরের উদ্যোগে ঢেলে সাজানো হয়েছে ‘গাছবাড়ি’-কে।নবরূপে সাজানো গাছবাড়িটির দ্বারদ্ঘাটোন করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়।   

বর্ষাকালে মাঠাবুরু পাহাড় ঘেষে কালো মেঘ ভেসে বেড়ায় পুরুলিয়ায়। সেখানেই শাল-শিমুল-পলাশের জঙ্গলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। এখানে ঘুরতে গিয়ে পর্যটকরা ‘গাছবাড়ি’তে থাকার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। শাল গাছকে ভর করে এক  একটা পর্যটক আবাস। সেগুলিরই পোশাকি নাম ‘ট্রি হাউস’। 

আনলক ওয়ানে পুনরায় খুলে দেওয়া হয় এই পর্যটন কেন্দ্র। নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই পর্যটক নিবাসকে। প্রকৃতির কোলে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে খোলা হয়েছে ছৌ মুখোশের বিপনী। মিলবে রঙবাহারি ছৌ মুখোশ। বনদপ্তরের যৌথ বন পরিচালন সমিতি এই বিপণীগুলির দায়িত্বে রয়েছে। 

রাঙা মাটির ইতিহাসকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে বনদপ্তর। যাঁর নামে মাঠাবুরু পাহাড় বা মাঠা জনপদ, সেই জমিদার তথা ‘আদিবাসী রাজা’ মঠা সিং-র কাহিনীকে ডিসপ্লে বোর্ডে সামনে আনা হবে।

শীতে এখানে প্রায় পঞ্চাশ হাজার পর্বতারোহীর আনাগোনা হয়। এছাড়াও প্রায় ৪,২৬০ হেক্টর বনভূমি জুড়ে রয়েছে পারডি জলাধার। বর্ষায় সেখানে আসে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি। 

‘গাছবাড়ি’ ছাড়াও  রয়েছে আরও একটি অতিথি আবাস। সেই আবাস বুকিং করতে পুরুলিয়া বিভাগের ডিএফও-র কাছে আবেদন করতে হয়। গাছবাড়ির বুকিং মিলবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট এজেন্সীর ওয়েবসাইট www.wbsfda.gov.inwww.wbsfda.org থেকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Tree House

আরো দেখুন