দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের বিক্ষোভের জের, ১ দিনে ফিরে এল ৫০ লাখ

July 1, 2020 | 2 min read

আসল বনাম ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্ত! আর তাতে‘জয়’ আসলদেরই।

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের লাগাতার ক্ষোভ-বিক্ষোভের জেরে চাপে পড়ে মঙ্গলবার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লক, নামখানা ও সাগর ব্লকে ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ৫০ লক্ষেরও বেশি টাকা ফেরত পেল প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লক থেকে ১০৫ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন। ফেরত এসেছে ২১ লক্ষ টাকা। নামখানা ব্লক থেকে ফেরত এসেছে ১৫ লক্ষেরও বেশি টাকা। সাগর ব্লকে ফেরত এসেছে ১০ লক্ষের বেশি টাকা। টাকা ফেরতের তালিকায় অধিকাংশই তৃণমূল নেতা, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ তাদের আত্মীয়স্বজন এবং ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। টাকা ফেরতের তালিকা আরও বড় হবে বলে অনুমান প্রশাসনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘কমিটির সদস্যরা প্রতিটি এলাকায় সরেজমিন ঘুরে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছেন। পাশাপাশি টাকা ফেরতের কাজও চলছে। কমিটির সিলমোহরের পর টাকা বণ্টনের কাজ শুরু করা হবে। আর যারা টাকা ফেরত দেবে না, খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’

আম্পানের ঠিক পরেই ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণের ২০ হাজার টাকা করে বণ্টনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উত্তাল হয়ে ওঠে নানা এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী কড়া মনোভাব দেখানোয় স্বজনপোষণ ও দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরে নতুন তালিকা তৈরি শুরু করে দিয়েছে।

ঘটনা হল, মঙ্গলবার নতুন করে মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লক ও কাকদ্বীপ ব্লকের বেশ কয়েকজন শাসকদলের নেতা সহ পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের আবাদ ভগবান গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান জিয়াদ আলি পুরকাইত ও পঞ্চায়েত সমিতির নারী, শিশুকল্যাণ ও ত্রাণের কর্মাধ্যক্ষ সাহানা খাতুন পুরকাইতের নিজের বাবা, তিন ভাই, চার বৌদি, ভাইপো, ভাইঝি, দিদি, দিদির ছেলে-মেয়ে, কাকা-কাকিমা ও তাদের ছেলেমেয়ে মিলিয়ে ১৮ জনের অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের ২০ হাজার টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের। জিয়াদ আলি ও সাহানাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন তোলেননি। তবে এই স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুকুন্তলা হালদার জানান, ‘ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষতিপূরণের তালিকা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও উপপ্রধানের বাড়ির লোকজনেদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার তালিকা বিডিওর হাতে তুলে দিয়েছি। আমরা চাই, বিডিও এঁদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা নিক।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #Amphan relief scam

আরো দেখুন