দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

ত্রাণে স্বজনপোষণ, মুখ পুড়ল বিজেপির

July 1, 2020 | 2 min read

ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির প্রশ্নে এতদিন শাসক দলেরই মুখ পুড়েছিল। দেখা গেল পিছিয়ে নেই বিরোধীরাও। তৃণমূলের অভিযোগ, যেখানে একটু শক্তি জোটাতে পেরেছে, সেখানেই দুর্নীতিতে নাম লিখিয়েছে বিজেপি। শাসক-বিরোধী এই চাপানউতোরের সূত্রপাত মথুরাপুর-২ ব্লকের কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। যেখানে বিজেপির দুই স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ভুয়ো আবেদন করে ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের একজন আবার পঞ্চায়েত সদস্য।

কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কাশীনগরের ১০৬ ও ১০৭ নম্বর বুথে ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ্যে আনেন খোদ গ্রামবাসীরাই। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা এ নিয়ে বিডিওর দারস্থ হয়েছিলেন। সব শুনে বিডিও রিজওয়ান আহমেদ সকলের কাছ থেকে নতুন করে ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র জমা নেন। পরে বিডিওর নির্দেশে অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু করে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব দাস ও অঞ্চল নেতা অনিন্দ্য হালদারের অ্যাকাউন্টে কুড়ি হাজার টাকা করে ঢুকেছে। কিন্তু দু’জনেরই পাকা বাড়ি। এরপরেই দুই নেতা-সহ বাকিদের শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিডিও।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল নেতার দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শান্তনু বাপুলি বলেন ,‘এই ব্লকে ১৬৯ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে আমাদের ১০৫। বাকি ৬৪ বিরোধী। এই বিরোধীরা অনেকেই উম্পুনের ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে আমাদের কাছে পাকা খবর আছে। সব আস্তে আস্তে ধরা পড়বে।’ আত্মপক্ষ সমর্থনে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব দাস বলেন, ‘আমি অভাবী মানুষ। দিনমজুরি করে খাই। উড়ে যাওয়া ছাউনি মেরামত করতে গিয়ে সেই টাকা খরচ করে ফেলেছি। আমাকে একটু সময় দিলে টাকা ফেরত দিয়ে দেব।’ উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতেও ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলেওঅভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘বাগদার কানিয়ারা-১ এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের ঘনিষ্ঠদের ঝড়ে কোনও ক্ষতি না হলেও তাঁরা টাকা নিয়েছেন। একই ভাবে গাইঘাটা ব্লকের ধরমপুর-২ পঞ্চায়েত এবং রাজারহাটের চাঁদপুর পঞ্চায়েতেও বিজেপি টাকা নয়ছয় করেছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Amphan relief scam

আরো দেখুন