জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

ডাক্তার হতে চাইলে নিজেকে এইভাবে প্রস্তুত করুন

July 1, 2020 | 2 min read

ডাক্তারিকে বলা হয় ‘নোবেল প্রফেশান’। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন প্রায় সব পড়ুয়ারাই এবং তাদের বাবা মায়েরা তাদের শিক্ষা জীবনের শুরুতেই দেখে ফেলে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়ে ওঠে না সবার পক্ষে। 

আমাদের দেশে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার পরেই যে পরীক্ষাটি সবচেয়ে কঠিন হয়ে থাকে তার নাম ‘মেডিক্যাল জয়েন্ট’। সেই পরীক্ষার সময়েই বহু স্বপ্ন হয়ে যায় চুরমার। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে জোড় দিলে কিন্তু এই পরীক্ষাও উৎরানো সম্ভব।

পড়াশোনাকে ভালবাসতে হবে

মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত একজন চিকিৎসককে সারাজীবন পড়াশোনা করে যেতে হয়। বুঝে বুঝে পড়তে হয় ও দরকারভেদে মুখস্ত করতে হয়। তাই পড়াশোনাটাকে চাপ কিংবা চিন্তার বিষয় মনে করা যাবে না। জানার  জন্য পড়তে হবে ও সব বিষয়ে আগ্রহী হতে হবে। তবেই এই পেশায় ভালো ফল পাওয়া যাবে।

মানবদেহ চ্যাপ্টারে জোর দিতে হবে  

অনেকেই বায়োলজির মানবদেহ চ্যাপ্টারটা ভয় পেয়ে কম পড়ে। অথচ এই মানবদেহ চ্যাপ্টার মেডিক্যালের প্রথম দু বছরের অ্যানাটমি সাবজেক্টের বেসিক। তাই মানবদেহ যার যত ভালভাবে পড়া থাকবে তার ততো সুবিধে হবে। 

ইংরাজি টার্মগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে   

বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে বায়োলজি, কেমিস্ট্রি  বইতে বাংলা টার্ম-এর পাশে ব্রাকেট দিয়ে তার ইংরেজি শব্দ লেখা থাকে। সেগুলোও পড়তে হবে। কারণ মেডিক্যালের পড়াশোনা পুরোটা ইংরেজিতে, কোন বাংলা শব্দের ব্যবহার নেই।  

মুখস্ত পড়া বলার অভ্যাস করতে হবে

মেডিক্যাল জীবনে ভাইভা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ভাইভাতে পাশ করাটাও কঠিন। টিচার যে প্রশ্ন ধরবেন, তা মুখে বলতে হয়। তাই স্কুল জীবন থেকেই চেষ্টা করতে হবে পড়া মুখস্ত করে তা পাশের বন্ধু, বড় কেউ অথবা শিক্ষকের কাছে মুখস্ত বলতে। 

ফাঁকিবাজিটা বাদ দিতে হবে

মেডিক্যালে প্রচুর পড়ার প্রেসার। তাই প্রতিদিন পড়াশোনার অভ্যেস রাখতে হবে। করতে  হবে কঠোর পরিশ্রম। 

আঁকাআঁকিটা ভালভাবে শিখতে হবে

স্কুলে পাকস্থলী, হৃদপিন্ড ইত্যাদি নানাবিধ ছবি আঁকতে হয়। মজার ব্যাপার হলো চিকিৎসক হওয়া পর্যন্ত এমনকি সারাজীবন এ ছবিগুলো মাথায় রাখতে হবে। প্রত্যেকটি ছবির লেবেলিং খুব ভালো ভাবে জানা, বোঝা ও আঁকতে পারা মেডিক্যাল-এর পড়াশোনায় কাজে  দেবে।   

ব্যবহারিক কাজে দক্ষতা অর্জন 

স্কুলে বায়োলজি, কেমিস্ট্রির প্র্যাক্টিক্যাল খুব মন দিয়ে করতে হবে। কারণ এসব কাজের মাধ্যমে ছোট  আঙ্গিকে হাতের কাজ শেখানো হয় যাতে পরবর্তীতে ল্যাব-এর কাজ করা, মাইক্রোস্কোপে স্লাইড বোঝা কিংবা অপারেশন-এর অ্যাসিস্ট করার মতো হাতের কাজ করতে উৎসাহ পাওয়া যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Doctor, #preparation

আরো দেখুন