প্রযুক্তি বিভাগে ফিরে যান

চীনা ফোনের বিকল্প নেই বাজারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

July 5, 2020 | 2 min read

চীনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠলেও চাইনিজ ফোনের চাহিদা কমবে না দেশের বাজারে। মানছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের বাজারে অধিকাংশ স্মার্টফোনই চীনা কোম্পানির। ৭০% বাজার দখল করে বসে আছে সাওমি, ভিভো, ওপো, রিয়েলমির মতো চীনা কোম্পানি। 

কম দামে চাইনিজ স্মার্টফোন যা সুবিধে দেয়, অন্য কোম্পানি তা দিতে পারে না। ফলত বাজারে মোবাইল কিনতে গেলে ক্রেতার প্রথম পছন্দ চাইনিজ স্মার্টফোন। চীনা কোম্পানির ফোনকে একমাত্র টেক্কা দিতে পারে স্যামসাং। 

ইদানিং দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোম্পানির ফোনের দাম সাওমি বা ভিভোর তুলনায় বেশী। অথচ দুই কোম্পানির ফোনের বিশেষত্ত্বে খুব বেশী ফারাক থাকে না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে মাইক্রোম্যাক্স, ইনটেক্স, লাভার মতো দেশীয় কোম্পানির পক্ষেও অত কম দামে স্মার্টফোন তৈরী করা সম্ভব নয়। 

আইডিসি ইন্ডিয়ার রিসার্চ ডিরেক্টর, নভকেন্দর সিং বলছেন, ‘একজন ক্রেতার সমস্ত চাহিদা পূরণ করে চাইনিজ স্মার্টফোন। আমার ধারণা, দেশের বাজারে চীনা ফোনের চাহিদায় কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’ খুচরো বাজারের এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, গত এক সপ্তাহে চাইনিজ ফোনের চাহিদায় কোনও ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়নি। লোকে তো কিনছে। 

স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে ভারত দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সম্প্রতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছিলেন, ২০২০ অর্থবর্ষে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ফোন বিদেশে রপ্তানি করেছে ভারত, যেখানে গত অর্থবর্ষে মাত্র এক কোটি ৭০ লক্ষ ফোন রপ্তানি করা হয়েছিল। কারণ ওই একটাই। কারখানা থেকে শুরু করে ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল–সব কিছুই দেশের বাজারে খুলে ফেলেছে চীনা কোম্পানিগুলো। উৎপাদন বাড়ায় বেড়েছে রপ্তানি। 

এখন যদি সত্যিই চীনা মোবাইল কোম্পানিগুলিকে তাড়ানো হয়, দেশের বাজারে মোবাইল ফোনের বাস্তুতন্ত্রটাই ভেঙে পড়বে। রুজিরুটি হারাবেন বহু মানুষ। তবে সম্প্রতি মাইক্রোম্যাক্সের মতো দেশীয় কোম্পানিগুলি বাজারে নতুন নতুন মডেল নিয়ে আসার কথা ভাবছে। 

তবে নভকেন্দর সিং বলছেন, ‘চাইনিজ ফোনকে টেক্কা দেওয়ার মতো বাজার তৈরী করতে সময় লাগবে মাইক্রোম্যাক্স, ইনটেক্স, লাভার মতো কোম্পানির। বাজারে সমতা ফিরতে সময় লাগবে।’ 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Chinese phones

আরো দেখুন