মহিলারা সাবধান! হরমোন ইমব্যালান্সের কারণে হতে পারে বিপদ
মহিলা-পুরুষ উভয়েরই দেহের বৃদ্ধি, ও অন্যান্য কার্যকারিতার জন্য দায়ী শরীরের ভেতরে নিঃসৃত হরমোন৷ তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা বেশি৷ যদি হরমোনের আধিক্য বা স্বল্পতা দেখা দেয়, তাহলে শারীরিক ও মানসিক যেমন সমস্যার সৃষ্টি হয়, তেমনই সৌন্দর্যগত দিক দিয়েও অনেক অসুবিধা দেখা দেয়৷
কিভাবে বুঝবেন যে শরীরে হরমোনের তারতম্য হচ্ছে?
মানুষের মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্রন্থি রয়েছে। এই গ্রন্থির একটি রোগ সিহানস সিনড্রোম। এটা শুধু মহিলাদের ক্ষেত্রেই হয়৷ সন্তান প্রসব করার সময় মায়ের অতিরিক্ত রক্তস্রাব হতে পারে, যার ফলে পিটুইটরি গ্রন্থিতে রক্তশূন্যতা সৃষ্টি হয়৷ এর ফলে গ্রন্থি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরিণামে মায়ের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷
এছাড়াও, অনেকেই মোটা হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েন, ছোটবেলায় খাওয়া-দাওয়া কন্ট্রোল না করায় অতিরিক্ত চর্বি চলে আসে শরীরে৷ মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন মহিলারা৷
অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ হতে পারে তাঁদের৷ মেনোপজ তাড়াতাড়ি হতে পারে৷ চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে৷ ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে চোখমুখ৷ এক কথায়, মেয়েদের শরীরে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সমস্যা শুরু হয়৷
নিরাময়
হরমোনের চিকিৎসা সময় মত ও সঠিকভাবে করালে যথেষ্ট সুফল পাওয়া যায়৷ পলিসিস্টিক ওভারির ক্ষেত্রে কখনও কখনও অস্ত্রোপচারের দরকার পরলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওষুধেই কাজ হয়৷ নিয়ন্ত্রণে থাকে হরমোন৷
অতিরিক্ত লোমের ক্ষেত্রে লেসার ট্রিটমেন্টেও সুফল মেলে৷ ওবেসিটির জন্য ডায়াটিশিয়ান দিয়ে তৈরি করে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট ডায়েট৷ সুষম আহার ওজন কমাতে সাহায্য করে৷
সব মিলিয়ে হরমোন চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারে এবং শরীরের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে৷ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব এই ধরণের সমস্যায়৷