কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

বাংলার মুকুটে নয়া পালক, বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান মমতার ‘ই-সমাধান’

August 1, 2020 | < 1 min read

সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগের সুষ্ঠু সুরাহার লক্ষ্যে উদ্যোগের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান পেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্কচ ফাউন্ডেশনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (সিএমও)-এর গ্রিভান্স সেল ‘ই-সমাধান’কে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘স্কচ প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। এর আগেও কন্যাশ্রী-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

দেশের মধ্যে অন্তত ৪ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছিল এ বারের স্কচ পুরস্কারের জন্য। তার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে ‘ই-সমাধান’। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ‘ই-সমাধান’ নামে ওই গ্রিভান্স সেল চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সেলের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৯৫ শতাংশেরও বেশি (প্রায় ৮ লক্ষ ১৬ হাজার) নাগরিক-অভিযোগের সুরাহা করা হয়েছে বলে নবান্ন জানিয়েছে।

রাজ্য সরকারের যে উদ্যোগ স্কচ ফাউন্ডেশনের তরফে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেল, সেই ‘ই-সমাধান’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। রাজ্যের জনসাধারণ তাঁদের যে কোনও সমস্যার কথা যাতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে দিতে পারেন এবং সমস্যার গুরুত্ব বুঝে যাতে অবিলম্বে তার সমাধান হয়, সেই লক্ষ্যেই ওই গ্রিভান্স সেল চালু করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই উদ্যোগই এ বার শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান পেল। রাজ্য সরকারের পক্ষে তো বটেই, ব্যক্তিগত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও এই পুরস্কার অত্যন্ত সম্মানজনক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

দেশে কোনও অসামান্য প্রকল্প বা প্রচেষ্টাকে প্রতি বছরই স্বীকৃতি দেয় স্কচ ফাউন্ডেশন। প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বেছে নেওয়া হয় দেশের সেরা উদ্যোগকে। এর পর দেশের সেরা উদ্যোগগুলোকে ১০টি সিলভার, ৩টি গোল্ড এবং ১টি প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। চলতি বছরে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘ই-সমাধান’ পেল সেরার সেরা সেই প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড। এর আগে ২০১৪ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিল রাজ্যের ই-আবগারি দফতর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #SKOCH Award, #CMO, #E-Samadhan

আরো দেখুন