সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া, প্রয়াত পণ্ডিত যশরাজ

প্রয়াত পণ্ডিত যশরাজ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযুদ্ধ থামলো এই পদ্ম ভূষণ প্রাপ্ত সঙ্গীতজ্ঞের। মৃত্যুর সময় ৯০ বছর বয়স হয়েছিল ওনার।
৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সঙ্গীত চর্চা করেছেন এবং অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সমৃদ্ধ গানে অন্য মাত্রা দিয়েছেন সিনেমার গানকেও। ভারত, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গান শিখিয়েছেন তিনি।
১৯৩০ সালের ২৮ জানুয়ারি হরিয়ানার হিসার জেলার পিলি মান্ডোরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যশরাজ। যুব অবস্থায় হায়দরাবাদে কাটিয়েছিলেন এবং মেওয়াতীর ঘরণার সঙ্গীতশিল্পীদের কাছে অধ্যয়নের জন্য প্রায়শই গুজরাটের সানালন্দে যেতেন। সানন্দের ঠাকুর সাহেব মহারাজ জয়বন্ত সিং ওয়াঘেলার সামনে তিনি অনেকবার সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। তিনি ধ্রুপদী সঙ্গীত অনুরাগী ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন।
১৯৪৬ সালে, যশরাজ কলকাতায় চলে আসেন। সেখানে তিনি রেডিওর জন্য শাস্ত্রীয় সংগীত গাওয়া শুরু করেছিলেন। সেমি ক্লাসিক্যাল গানের পথিকৃৎ তিনি।
তিনি যশরঙ্গী নামে একটি অভিনব যুগলবন্দির ধরণ তৈরি করেছিলেন। এই যুগলবন্দি অনেকটা মূর্ছনার মত যেখানে একজন পুরুষ এবং মহিলা কণ্ঠশিল্পী একই সাথে বিভিন্ন রাগ গেয়ে থাকেন। তিনি আবির টোদি এবং পটদীপাকী সহ বিভিন্ন বিরল রাগ উপস্থাপনের জন্যও খ্যাতিমান।
গত বছর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পণ্ডিত যশরাজের নামে একটি ছোট গ্রহের নামকরণ করে। প্রথম ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে এই দুর্লভ সম্মান পান পণ্ডিত যশরাজ। গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পণ্ডিতযশরাজ (৩০০১২৮)’।
পণ্ডিত যশরাজের প্রয়াণে বিরাট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে গভীর শূন্যতা সৃষ্টি হল।