দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বারাসতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ কর্মীদের

August 30, 2020 | 2 min read

জেলায় জেলায় গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হচ্ছে। শনিবার বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবিতে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) কাছে স্মারকলিপি জমা দেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে জেলা সভাপতি আঁতাঁত করে চলছেন। এদিন তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তায় ক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা।

বারাসত সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি অপসারণের দাবি তোলা দলের কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ শোনেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, ”বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক কাজে কিছুটা শান্তি আছে l কর্মীরা তাঁদের ক্ষোভের কথা আমার কাছে লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।” জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাঁতের যে অভিযোগ এনেছেন বিজেপি কর্মীরা, তা নিয়ে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাসের পালটা বক্তব্য, ”বিজেপির প্রত্যেক নেতা, কর্মী দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের আঁতাঁত করার কোনও প্রয়োজন পড়ে না l” তিনি এই প্রশ্নও তোলেন, ”জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে কেন সাংসদের বাড়িতে ডেপুটেশন?”

এদিকে, জেলায় দলের মধ্যে অতিরিক্ত কলহের জেরে দলত্যাগের হিড়িক গেরুয়া শিবিরে। বিরোধী দলের বিজয়ী ৪৫ জন সদস্য-সহ কয়েকশো নেতা, কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। বসিরহাট মহকুমা বাদুড়িয়া বিধানসভার পৌর কমিউনিটি হলে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, নির্দলের কুড়ি জন সদস্য-সহ কর্মী, সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর, কার্যকরী সভাপতি ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী। 

এই জেলায় একমাত্র বিধানসভা বাদুড়িয়া বিধানসভা কংগ্রেসের গড়। বরাবরই বাদুড়িয়া বিধানসভা ছিল প্রয়াত কংগ্রেস নেতা কাজী আবদুল গফফরের জন্মভূমি। আর সেখানেই কংগ্রেসে  বড়সড় ভাঙন। কংগ্রেস-সহ বিজেপি, সিপিএম, নির্দলের ৪৫ জন সদস্য ও কয়েকশো কর্মী-সমর্থকদের তৃণমূলে যোগদান শাসকদলের শক্তি অনেকটাই বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।

TMC-joining

এদিন কংগ্রেস সদস্য অঞ্জলি মণ্ডল, আনারুল সমাদ্দার ও মাজেদা বিবি, বিজেপি নেতা তপন মণ্ডলরা বলেন, ”আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের শরিক হতে চাই। পাশাপাশি যেভাবে করোনা মোকাবিলা করছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, তাঁর হাত শক্ত করতে এই যোগদান। পাশাপাশি তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে দলনেত্রীর পথ অনুসরণ করছেন, তাঁর কাজেও উদ্বুদ্ধ আমরা। এই দলে যোগদান করলাম যাতে মানুষের কাজ করতে পারি।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#barasat, #bjp

আরো দেখুন