জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

ট্রেন-মেট্রো খুললে যাতায়াতে কী কী সতর্কতা নেবেন?

September 12, 2020 | 2 min read

সারা দেশেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার এখনও নিয়ন্ত্রিত হয়নি। প্রতিদিন আরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। অবশ্য প্রতিদিন করোনা থেকে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। ফলে ভবিষ্যতে এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলেই আশা।

এই অবস্থায় ছাত্রদের ট্রেন-মেট্রো চালু করা এগুলো নিয়ে কিছু অংশের মানুষ আতঙ্কিত। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন, পরিবহণ ব্যবস্থা, স্কুল, কলেজ চালু হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

মেট্রোয় কী কী সতর্কতা?

মেট্রো চালু হচ্ছে। শহর ও শহরতলির একটা বড় সংখ্যক মানুষ মেট্রো ধরে অফিসপাড়ায় ফিরতে চাইবেন আগের মতোই। অতএব মেট্রো ধরতে চাইলেও কঠোর নিয়ম মানতে হবে

  • মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
  • গ্লাভস পরলেও ভালো হয়।
  • সহযাত্রীদের সঙ্গে যতটাসম্ভব দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখাও দরকার।
  • মেট্রো ট্রেন চালাতে হলেও কঠোর নিয়ম পালন করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। প্রতিবার মেট্রো চালানোর রেক নিয়ম মেনে জীবাণুমুক্ত করা জরুরি।

ভিড়ে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব?

ট্রেন-মেট্রো পুরোদমে চালু হলে, যাতায়াতও পুরোদমে শুরু হবে। এই কারণে সকলের একটাই প্রশ্ন, দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে তো? ভিড় যেভাবে বাড়ছে, সতর্ক থাকা ছাড়া উপায় নেই। অর্থাৎ ট্রেন-মেট্রোয় উঠলে মুখে সর্বদা মাস্ক পরে থাকতেই হবে। এই ভিড়ের মধ্যেও কিন্তু থ্রি-লেয়ার মাস্ক একমাত্র রক্ষাকবচ। অতএব কোনওভাবেই মুখ থেকে মাস্ক সরালে চলবে না। অন্তত এভাবে কিছুটা হলেও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

স্কুল কলেজে সাবধানতা

স্কুল-কলেজে লেখাপড়া শুরু করার কথা হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সপ্তাহে কতদিন, কত সংখ্যক পড়ুয়া স্কুলে যাবে তা ঠিক করতে হবে। এছাড়া স্কুল কতক্ষণ চলতে পারে, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। কারণ ছোট ক্লাস রুমে একে অপরের সঙ্গে দৈহিক দূরত্ব বজায় রেখে বসা সম্ভব নয়।

কয়েকটি বিষয়ে অভিভাবকরা অবশ্যই তাঁদের সন্তানকে সচেতন করুন

  • স্কুলে থাকাকালীন সময়ে মাস্ক কোনওমতেই খোলা যাবে না। 
  • অন্যের থেকে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে বসতে হবে। 
  • টিফিন কারও সঙ্গে ভাগ করে খাওয়া যাবে না। 
  • বারবার হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি। 
  • এছাড়া কোনও ছাত্রের পরিবারের কোনও একজন সদস্যের শরীর খারাপ হলে স্কুলে আসা যাবে না।

আপাতত এভাবেই জীবনের চাকা ঘোরাতে হবে। কারণ, জীবন থেমে থাকে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন