উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

তিস্তাপাড়ে জঞ্জাল অপসারণে উদ্যোগী রাজ্য

September 14, 2020 | 2 min read

তিস্তাপাড়ের শহর জলপাইগুড়ি। শতবর্ষ পুরনো এই শহরে ইতিউতি জমে থাকছে জঞ্জাল। দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায় এলাকায়। তিস্তা, করলার জলকেও দূষিত করছে কঠিন বর্জ্য। সুস্থ পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এবার নিয়মিতভাবে সেই জঞ্জাল অপসারণে উদ্যোগী হয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। সম্প্রতি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৪০টি পুরসভার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি পুর এলাকাতেও জঞ্জাল অপসারণের কাজে নজর দিচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তরবঙ্গের এই প্রাচীন শহরও। রবিবার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সুডা) ওই কাজের তদারকি করবে। প্রথম পর্যায়ে শহরের বাড়ি বাড়ি পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে জঞ্জাল অপসারণ করতে উদ্যোগ নিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। জৈব ও অজৈব বর্জ্য পৃথকভাবে সংগ্রহ করা হবে। যা অতীতে এশহরে হয়নি। এর জন্য শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি দু’টি করে প্লাস্টিকের পাত্র দেওয়া হবে। একটি সবুজ রঙের, অন্যটি নীল। গৃহস্থালীর পচনশীল ও অপচনশীল দু’ধরনের বর্জ্য আলাদা করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নীলপাত্রে অপচনশীল এবং সবুজপাত্রে পচনশীল বর্জ্য ফেলতে হবে। যার ফলে সহজেই তা আলাদা করা যাবে। পরে পচনশীল বর্জ্য থেকে সার ও গ্যাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া বর্জ্য ফেলার জন্য একটি জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে শহরের রাস্তায় যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা আবর্জনা দূর করে শহরকে দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনাও পুরসভার নিয়েছে। একই সঙ্গে তিস্তা ও করলার দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে।

জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, শহরকে দূষণমুক্ত করতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করা হবে। পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে মানুষের মধ্যে প্রয়োজনীয় সচেতনতাও বৃদ্ধি করা হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য থেকে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে দু’টি করে পাত্র বাড়ি বাড়ি দেব। মূলত জৈব এবং অজৈব জঞ্জাল পৃথক না করার জন্য সমস্যা বাড়ে। সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের তিস্তা ও করলা নদীতে কেউ যাতে আবর্জনা না ফেলতে পারে সেজন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জলপাইগুড়ির বাসিন্দা পরিবেশপ্রেমী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, শহরে জঞ্জাল অপসারণের জন্য বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই করা উচিত। দূষণ রোধে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু বাড়ি বা রাস্তা নয় সেইসঙ্গে জলপাইগুড়ির উপর দিয়ে বয়ে চলা করলা ও পার্শ্ববর্তী তিস্তায় যাতে আবর্জনা না জমতে পারে, সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #jalpaiguri, #Teesta

আরো দেখুন