রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অসংগঠিত ক্ষেত্রের ৬৪ লক্ষ শ্রমিকের তথ্য সংযোজন করবে নবান্ন

September 17, 2020 | 2 min read

রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের কাছে সরকারি সামাজিক সুরক্ষার সুবিধাগুলি পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এব্যাপারে বাড়তি উদ্যোগও নিয়েছেন। এবার তাঁর নির্দেশে আগামী এক মাসের মধ্যে নথিভুক্ত অন্তত ৬৪ লক্ষ শ্রমিকের তথ্য সংযোজনের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটাই হবে রাজ্য সরকারের সামাজিক সুরক্ষা যোজনার পোর্টালের মাধ্যমে। এব্যাপারে জেলাওয়াড়ি কমিটি গঠনের পাশাপাশি বিশেষ ক্যাম্প আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম কমিশনার জাভেদ আখতার। শুধু তাই নয়, এই কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য কমিশনার সহ শ্রমদপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আগামীকাল শুক্রবার থেকে জেলা সফরে যাচ্ছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অসংগঠিত শ্রমিকরা নিদারুণ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। দেশজুড়ে এনিয়ে প্রবল শোরগোলও পড়ে। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক দেখেছে, এই ক্ষেত্রের সিংহভাগই হল নির্মাণকর্মী। কিন্তু পাঁচ কোটি’র মধ্যে অর্ধেক, অর্থাৎ আড়াই কোটি নির্মাণকর্মীর নাম-পরিচয় সরকারি নথিতে আপডেট না থাকায় তাঁরা কোনও সরকারি সুবিধা পাননি। তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র সব রাজ্যকে ‘মিশন মোড প্রকল্পে’ নতুন নাম নথিভুক্তকরণের পাশাপাশি সংযোজন বা আপডেট করার কাজ দ্রুত সেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানার পরই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। দেখা যায়, নির্মাণ সহ বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ শ্রমিকের নাম সুরক্ষা যোজনায় সরকারি খাতায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু তার অর্ধেক, অর্থাৎ প্রায় ৬৪ লক্ষ শ্রমিকের সম্পূর্ণ এবং সর্বশেষ তথ্য সরকারের কাছে নেই। ফলে তাঁরা কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না। তার উপর পোর্টালটি গণ্ডগোল করায় কোভিড পর্বে তথ্য সংযোজনের কাজ থমকে ছিল।

কার্যত অকেজো হয়ে পড়া পোর্টালটি ভারত সরকারের সংস্থা এনআইসি’কে দিয়ে নতুন করে তৈরির চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে নাম নথিভুক্ত ও তথ্য সংযোজনের জন্য বিশেষ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নবান্ন এবিষয়ে সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার জাভেদ আখতার দুটি পৃথক আদেশনামা বের করেন। সেই আদেশনামা অনুযায়ী, সব জেলার উপ-শ্রম কমিশনারের নেতৃত্বে একটি করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার ও ন্যূনতম মজুরি দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টরদের নিয়ে প্রতি জেলায় ওই কমিটি তৈরি হয়েছে। একমাত্র হুগলিতেই তৈরি হয়েছে এমন দুটি কমিটি। নাম তোলা বা সংযোজনের কাজ খতিয়ে দেখবে কমিটিগুলি।

ওই আদেশনামায় বলা হয়েছে, এই বিশেষ অভিযান সফল করার জন্য তৃণমূল স্তরে কমিশনে নিযুক্ত যে কয়েক হাজার স্টেট লেভেল লেবার অর্গানাইজার (এসএলও) রয়েছেন, তাঁরা প্রতি শ্রমিকের তথ্য সংযোজনের জন্য পাঁচ টাকা করে কমিশন পাবেন। তবে এসএলও’দের সংগঠন এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Nabanna, #workers

আরো দেখুন