কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে পথে নামল তৃণমূল
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ফের পথে নামল তৃণমূল। রবিবার রাজ্যজুড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ, পথসভা, মিছিল করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। একযোগে তাঁরা বললেন, কেন্দ্রের সরকার আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলে দেশবাসীকে দুর্দশার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। সেইমতো এর আগে দু’দিন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রবিবার ছিল তৃতীয় পর্যায়। বেহালায় দলের কর্মসূচিতে ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সরকার সবকা বিকাশের কথা বলে দেশজুড়ে বিনাশ করছে। জাতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে। বিলগ্নীকরণ করা হচ্ছে লাভজনক সংস্থার। কর্মসংস্থানের বদলে কর্মচ্যুতি ঘটছে। তার বিরুদ্ধেই তৃণমূলের প্রতিবাদ।’
বিমানবন্দর, রেল প্রভৃতি রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বিল পাশের মধ্যে দিয়ে কৃষকদের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। সংসদীয় রাজনীতির তোয়াক্কা না করে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এমনকী বিরোধীদেরও মর্যাদা দিচ্ছে না। কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এদিন দমদম পার্কে একটি বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা দেয়নি তারা। একইসঙ্গে রেল, বিএসএনএল-এর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্দ্বিধায় ছাঁটাই করা হচ্ছে। এসব আমরা মানব না। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সরব থাকছে, থাকবে। কলকাতার উত্তর ও দক্ষিণে বিভিন্ন জায়গায় এদিন কর্মসূচি নেওয়া হয়।
বেহালার কর্মসূচিতে এদিন কয়েকশো বিজেপি কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি শ্রী শুভাশীষ চক্রবর্তী, রত্না চ্যাটার্জি, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ওমপ্রকাশ মিশ্র, অভিজিৎ মুখার্জি, তারক সিং ও অন্যান্য নেতৃত্ব।
এছাড়াও চুঁচুড়া, উত্তরপাড়া সহ হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সহ বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন সেইসব কর্মসূচিতে। বারাসতেও অবস্থান-বিক্ষোভ হয়েছে।