বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

চলে গেলেন এস পি, রেখে গেলেন ৪০ হাজার গানের সম্ভার

September 25, 2020 | 2 min read

২০২০ কেড়ে নিল কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী এস পি বালসুব্রহ্মণ্যমকে। ৫ই আগস্ট ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই জানান এই বর্ষীয়ান শিল্পী। তার আগে দিন কয়েক ধরেই করোনার হালকা উপসর্গ ছিল তাঁর। 

ছ’বার জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই সঙ্গীতশিল্পী দক্ষিণ ভারতের পাশাপাশি বলিউডি ছবিতে একাধিক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। প্রথম জাতীয় পুরষ্কার পান তেলুগু গান “ওম কারা নাধানু”র জন্য। 

সলমন খানের কন্ঠ হিসাবেই বলিউডি পরিচিতি তাঁর। নব্বইয়ের দশকে সলমন খানের ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া, হাম আপকে হ্যায় কৌনের মতো সুপারহিট ছবিতে প্রতিটি গানে প্লে-ব্যাক করেছেন এস পি। যদিও তাঁর মিউজিক্যাল সফল শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। ১৯৬৬ সালে প্রথম তেলুগু ছবিতে গান গেয়েছিলেন এই কিংবদন্তী শিল্পী। 

দীর্ঘদিন বলিউড মিউজিক থেকে দূরে থাকবার পর ২০১৩ সালে শাহরুখ খানের চেন্নাই এক্সপ্রেস ছবিতে প্লে-ব্যাক করেছিলেন এস পি বালসুব্রহ্মণ্যম। প্রায় ১৬ ভাষায় ৪০ হাজার গান গেয়েছেন তিনি।

১৯৪৬ সালের ৪ঠা জুন নেল্লোরে জন্মান। ১৯৬৬ সালে তেলুগুর পর তামিল ও কন্নড় ভাষার ছবিতে গান গাইতে শুরু করেন। তবে আসল সাফল্য আসে যখন ১৯৬৯ সালে তামিল অভিনেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমজিআর নিজের গলায় তাঁকে গানের সুযোগ দেন ‘আদিমাইপেন’ ছবিতে। ঐ ছবিতে তাঁর গাওয়া “আইরাম নিলাভে ভা” গানটি গাইবার পর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। 

তাঁর  একটি রেকর্ড আছে এক দিনে সর্বাধিক গান রেকর্ড করার। ১৯৮১ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি তিনি ২১টি কন্নড় গান রেকর্ড করেন। ১৯৮১ সালে ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ছবিতে কমল হাসানের কন্ঠ হিসেবে বলিউডে প্রবেশ এবং “তেরে মেরে বিচ মে” গানের জন্য জাতীয় পুরষ্কার পান।

তিনি ২০০১ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১১ সালে পদ্মভূষণ পুরষ্কার পান। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ইল্লিয়ারাজার সঙ্গে তিনি সবথেকে বেশি সাফল্য অর্জন করেছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ষষ্ঠবার জাতীয় পুরষ্কার পান তামিল গান “থাঙ্গা থামারির” জন্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#SP Balasubramanyam, #RIP

আরো দেখুন