দেশ বিভাগে ফিরে যান

অবসরের দিনই ‘রেডি’ হয়ে যাবে পেনশনের কাগজপত্র, উদ্যোগী পিএফ দপ্তর

September 25, 2020 | 2 min read

এবার অবসরের দিনই ‘রেডি’ হয়ে যাবে পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র। ফলে অবসরের পর পেনশন পেতে কোনও ঢিলেমি হবে না। এবার সকল পিএফ গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা চালু করছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও। চলতি মাসের শেষে, অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই পরিষেবা কার্যকর করা হচ্ছে দেশজুড়ে। এই মাসে যাঁরা অবসর নেবেন, তাঁরা এই সুবিধা পাবেন বলে দাবি করেছে পিএফ দপ্তর।

ইপিএফও’র কর্তারা বলছেন, সাধারণত অবসরের পর কর্মীদের পেনশনের কাগজপত্র ও প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হয়। তা শেষ হতে কখনও মাস গড়িয়ে যায়, বা তারও বেশি সময় লাগে। ফলে সময়মতো পেনশন পান না অনেকেই। সেই সমস্যা কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে শ্রমমন্ত্রক। চলতি মাস থেকেই দিনের দিন পেনশনের সুবিধা কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এই প্রকল্প চালুর জন্য কর্মদাতা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ও হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কর্তারা। তাঁদের কথায়, পিএফ গ্রাহককে ওই সুবিধা দিতে গেলে কর্মদাতা সংস্থাকে আগেভাগে প্রশাসনিক কাজগুলি সেরে রাখতে হবে। কর্মচারী যে মাসে অবসর নেবেন, সেই মাসেই আগেভাগে পিএফের টাকা জমা করতে হবে। এই বিষয়ে পিএফ দপ্তরই যোগাযোগ করে নেবে কর্মদাতা সংস্থার সঙ্গে। সময়মতো পেনশন দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা জানানো হবে কর্মদাতা সংস্থাকে। সেই কাজ শেষ হলেই অবসরের দিন ছাড়পত্র দেওয়া হবে পেনশনের জন্য। পিএফ গ্রাহকদের অবসর যেদিনই হোক না কেন, পেনশন শুরু হয় ৫৮ বছর বয়স থেকে। এদিকে বেসরকারি সংস্থাগুলিতেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৫৮ বছর বয়সেই অবসর গ্রহণ করেন কর্মীরা। ফলে তাঁদের পক্ষে এই পদক্ষেপ সুবিধাজনক। যাঁরা ৫৮ বছর বয়সের পরও বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করবেন, তাঁরাও পিএফের পেনশন পাবেন ৫৮ বছর বয়সেই।

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের আঞ্চলিক অফিসগুলি এই সুবিধাটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে চায়। সেই কারণে দেশের নানা প্রান্তে এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠান হবে, যেখানে অবসর নেওয়া কর্মীদের হাতে পেনশনের কাগজপত্র তুলে দেওয়া হবে। কলকাতার আঞ্চলিক কমিশনার (আরপিএফসি ওয়ান) নবেন্দু রাই বলেন, আমরাও এমন একটি অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নিচ্ছি। সেখানে কয়েকজন অবসর গ্রহণকারীর হাতে আমরা নথি তুলে দেব। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই অবশ্য এই প্রকল্প চালু হয়েছে, যেখানে কর্মদাতা সংস্থাগুলি উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু এবার সর্বস্তরে তা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এর পাশাপাশি ইপিএফ অ্যান্ড এমপি অ্যাক্টের আওতায় থাকা কোয়াসি জুডিশিয়াল কেসগুলির ভার্চুয়াল শুনানির আয়োজন করছে কেন্দ্র। ফলে যাঁদের পিএফ সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা আটকে আছে, তাঁরা এবার সেসব দ্রুত নিষ্পত্তির সুযোগ পাবেন। করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা বিচার শুরু হলে কয়েকটি সুবিধাও মিলবে বলে দাবি করেছে দপ্তর। যেমন বিচার চাইতে সশরীরে হাজির হতে হবে না। তাতে খরচ ও সময় বাঁচবে। কাগুজে নথির বদলে ডিজিটাল নথি ব্যবহার করা যাবে। হাজির না থাকার কারণে বিচার প্রক্রিয়ার তারিখ পিছনোর সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, দাবি করেছে শ্রমমন্ত্রক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#PF, #Retirement

আরো দেখুন