দেশের ৯ কোটি নাগরিক করোনার মোকাবিলা করেছে ইমিউনিটির অস্ত্রেই- আইসিএমআর
ইমিউনিটির অস্ত্রেই দেশের ৯ কোটি নাগরিক করোনার মোকাবিলা করে ফেলেছে। আইসিএমআরের সমীক্ষায় এমনই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট হাতে পেয়েই স্বাস্থ্যমন্ত্রক একদিকে যেমন ভারতীয় নাগরিকদের ইমিউনিটি নিয়ে সন্তুষ্ট একইসঙ্গে চিন্তিতও। কারণ, যাদের শরীরে অ্যান্টিবডির সন্ধান মিলেছে, উপসর্গহীন সেইসব নাগরিক এখন অসুস্থ না হলেও ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউই। তাই যতদিন না পাকাপাকিভাবে করোনা-কাবুর ভ্যাকসিন আসছে, ততদিন পাঁচ ‘টি’র উপরই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। এই পাঁচ ‘টি’ হল, টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রেস, ট্রিট এবং টেকনোলজি।
তফাৎ মাত্র মাস দুয়েকের। তারই মধ্যে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরির যে রেজাল্ট সামনে এসেছে, তা চমকে যাওয়ারই মতো। স্পেন, ব্রাজিলকে টপকে আমেরিকার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে ভারত। আমেরিকায় ৯.৩ শতাংশ নাগরিক নিজের অজান্তেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জোরে মোকাবিলা করে ফেলেছে করোনার ভাইরাসকে। ভারতে যা ৭.১ শতাংশ। পরিসংখ্যানের হিসেবে ৯ কোটি ৪০ লক্ষের মতো। দু’মাস আগেও যা ছিল মাত্র ৯৬ লক্ষ।
আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গের এই ছ’টি সহ গোটা দেশের ৭০ টি জেলায় সমীক্ষা করেছে আইসিএমআর। প্রথম দফায় সমীক্ষা করা হয়েছিল গত মে-জুন মাসে। জানা গিয়েছিল, মাত্র ০.৭৩ শতাংশ নাগরিক নিজের অজান্তেই মোকাবিলা করে ফেলেছে করোনাকে। আইসিএমআর দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা করেছিল ১৭ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। ৭০০ টি গ্রাম তথা পুরসভার ওয়ার্ডে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ১০ বছরের বেশি বয়সের ৬.৬ শতাংশ ইতিমধ্যেই মোকাবিলা করে ফেলেছে করোনাকে। প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্ষেত্রে যা ৭.১ শতাংশ। আইসিএমআর জানিয়েছে, ২৯ হাজার ৮২ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, শহরাঞ্চলের বস্তিতে সংক্রমণ রোখার প্রবণতাই বেশি (১৫.৬ শতাংশ)।