রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

৩০ বছরের ‘রাধাচূড়া’-কে পুনর্জীবন দিল KMRC

October 3, 2020 | 2 min read

কলকাতা শহরের একটা বিশাল অংশজুড়ে চলছে মেট্রো রেলের নতুন লাইনের কাজ। ফলে অনেক জায়গা থেকেই গাছ-বাড়িঘরের ঠিকানা বদল হচ্ছে। রবিবার কলকাতা মেট্টো রেল কর্পোরেশন (KMRC)-ও এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল। এবং ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করেছেন সংস্থার আধিকারিকেরা। রাইটার্স বিল্ডিংয়ে গজিয়ে ওঠা একটি পূর্ণবয়স্ক রাধাচূড়া গাছ ছিল। কিন্তু সেখানে মেট্রোর কাজের জন্য খননকার্য চালালে গাছটিকে উপড়ে ফেলতে হয়। কিন্তু একটি গাছ তো একটি প্রাণ। তাই শহরের রাজভবনে নতুন ঠিকানা হয় রাধাচূড়া গাছটির।

রবিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কর্মীরা গাছটিকে তুলে রাজভবনের মাটিতে পুঁতে সেটিকে নতুন ঠিকানা উপহার দেয়। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, সাইট দেখতে গিয়েই গাছটি চোখে পড়েছিল ইঞ্জিনিয়ারদের। তাঁদের মধ্যেই একজন এত বড় একটি গাছকে মেরে ফেলার বিরোধিতা করেন। ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। এনজিও ও প্রকৃতিপ্রেমীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তারপরই গাছটিকে পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ঠিক হয়।

.

গাছের পুনর্বাসন বিশেষজ্ঞ অর্জন বসু রায়ের কথায়, ‘আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যে, কতটা কম সময়ের মধ্যে গাছটিকে তুলে নতুন জায়গায় পুঁতে ফেলা যায়। গাছটির ওজন প্রায় ৮ টন, বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানেই গাছটিকে তোলা হয়। রবিবার থেকে একদল মানুষ গাছটিকে আগামী দুই মাস ধরে জল ও সারের জোগান দেবে, গাছটি যাতে কোনও ভাবেই মারা না যায়, সেটিই হবে তাঁদের লক্ষ্য।’ অর্জন বসু রায়ের কথায়, গাছটি বাঁচবে কিনা তা এখন নির্ভর করছে এই নতুন জায়গায় এসে তার লালনের উপর। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিদিন গাছটিকে স্নান করাতে হবে। অন্তত আগামী ২ মাস। গাছটি যাতে শুকিয়ে না যায় এবং তার নতুন পাতা তৈরির কাজ অব্যাহত থাকে সেটি দেখতে হবে। হরমোন থেরাপিও করা হবে গাছটির।’

.

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Tree Plantation, #KMRC

আরো দেখুন