দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

করোনা বায়ুবাহিত, লরির চাকা থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

October 7, 2020 | 2 min read

পুজোর আগে ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। যা ভাবাচ্ছে প্রায় সকলকেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রামের করোনা চিত্রও বিশেষ ভাল নয়। কারণ, গত কয়েকদিনে বেড়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। ঝাড়গ্রামে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকেও উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সকলকে মাস্ক পরার বার্তা দিলেন তিনি।

বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঝাড়গ্রামে চেন্নাই, মুম্বই থেকে লরি আসে। তাই অক্টোবর মাসটা সাবধানে থাকতে হবে ঝাড়গ্রামকে। বাজারের থলে থেকে যদি করোনা ছড়াতে পারে, তবে লরির চাকা থেকেই বা ভাইরাস ছড়াতে পারবে না কেন?” অনেকেই যে ঝাড়গ্রামে (Jhargram) মাস্ক পরে ঘুরছেন না, তাও নজরে আসে মুখ্যমন্ত্রীর। যাঁদের মাস্ক আছে অথচ পরছেন না, পুলিশকে মানবিকভাবে তাঁদের সচেতনতার পাঠ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া যে সমস্ত দুস্থ মানুষদের মাস্ক কেনার সামর্থ্য নেই তাঁদের তা বিলি করারও প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যাই হোক না কেন মাস্ক পরার বিষয়ে যে সকলকেই অভ্যস্ত হতে হবে, সেকথাই আরও একবার বৈঠকে স্পষ্ট করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত মাস্ক পরতেই হবে।” উৎসব থাকলেও কোভিডবিধি না মেনে এক পা-ও চলা যাবে না, তাও এদিন আরও একবার জানান মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যে করোনার (Coronavirus) গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে দিনকয়েক আগে তা আরও একবার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রামের এদিনের বৈঠক চলাকালীন করোনা ভাইরাসকে বায়ুবাহিত বলেও দাবি করলেন তিনি। এছাড়া কালীঘাটে তাঁর নিজের পাড়ায় করোনা সংক্রমণের প্রসঙ্গকেও উদাহরণ হিসাবে খাড়া করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, তাঁর পাড়ার মাত্র একটা পরিবারের মাধ্যমে কমপক্ষে ৩৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। কোভিড মোকাবিলায় ওই জায়গায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তার ফলে কোভিড সংক্রমণ কমানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁকে যিনি চা করে দেন, তিনিও করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন বলেও আরও একবার উল্লেখ করেন মমতা। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে কোভিডের সঙ্গে মোকাবিলায় আরও কঠোরভাবে সমস্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে, সে বার্তাই আরও একবার দেন মুখ্যমন্ত্রী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Coronavirus

আরো দেখুন