হচ্ছে টা কী? বিভাগে ফিরে যান

গোর্খাল্যাণ্ড – বিজেপির শাঁখের করাত

October 19, 2020 | < 1 min read

গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাম্প্রতিক ভূমিকায় অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই ইস্যুতে শান দেওয়ার ফলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষতি হতে পারে, এমনটাই মনে করছে দল।

গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুংপন্থী শিবির ও রাজ্য সরকারকে আমন্ত্রণ জানায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য। রাজ্য সরকার সেই বৈঠক বয়কট করে। উল্টোদিকে সেই বৈঠকে আলাদা রাজ্যের দাবি জানিয়ে বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে মোর্চা।

আলাদা রাজ্যের দাবি সমর্থন করলে সারা বাংলায় বিজেপি তার অস্তিত্ব হারাতে পারে। যে মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই বৈঠক ডাকে, তুমুল প্রতিবাদ শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। কেন ‘গোর্খাল্যাণ্ড’ নিয়ে বৈঠক? বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়ার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে তৃণমূল। তড়িঘড়ি বঙ্গ বিজেপি কেন্দ্রকে এই বিষয়ে সতর্ক করে। বৈঠকের এজেন্ডা পাল্টে করা হয় ‘জিটিএ’।

যদিও জিটিএ একটি নির্বাচিত সংস্থা, মানুষের চাহিদা পূরণে তারা ব্যর্থ। অপরদিকে, দলমত নির্বিশেষে সকল বাঙালি এই বাংলা ভাগের বিপক্ষে। বিজেপির ভিত বাংলায় এখনও শক্ত নয়। দল জানিয়েছে গোর্খাল্যাণ্ড নিয়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করবে তারা। কিন্তু দিশা দিতে বিজেপি ব্যর্থ।

বিজেপির সঙ্গী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সমালোচনা করেছে। নীরজ জিম্বা পদত্যাগ করার কথাও বলেন কারণ তাদের মতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের কোনও ব্যবস্থাই করছে না।

এছাড়া, এই অঞ্চলে উত্তেজনা হলে চীন অনেক সুবিধা পেতে পারবে। পাশাপাশি, এখানে জনপ্রিয়তা হারালে উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা কমবে। তাই, বিজেপির জন্য গোর্খাল্যাণ্ড এখন শাঁখের করাত। এই ইস্যুতে গোর্খাদের দাবি সমর্থন করলে সারা বাংলায় অস্তিত্ব সঙ্কট আর তাদের দাবি নিয়ে না এগোলে গোর্খাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা কমবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Gorkhaland, #bjp, #‬ ‪‎West Bengal

আরো দেখুন