হচ্ছে টা কী? বিভাগে ফিরে যান

মোর্চার বিজেপি ত্যাগ – অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল

October 22, 2020 | < 1 min read

পঞ্চমীর বিকেলে কলকাতায় উদয় হলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সুপ্রিমো বিমল গুরুং। গাড়ি নিয়ে ঘুরলেন সল্টলেক থেকে ধর্মতলা। গোর্খা ভবনে পাত্তা পেলেন না। কিন্তু পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন, বিজেপির সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। পাহাড়ের উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই পাশে চান তিনি। ২০২১ সালে দিদিকে ফের মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য লড়াইও করবেন। রোশন গিরিকে পাশে নিয়েই।

করোনা কালের দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিনটি বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন সন্ধিক্ষণ হয়ে রইল। রাতেই ট্যুইটারে গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল তৃণমূল। জানাল, এনডিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন বিমল গুরুং। শান্তি রক্ষায় এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা। গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিজেপির সস্তার রাজনীতি এবং বিশ্বাসভঙ্গকারী চরিত্রও এখন বাংলার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল। পাহাড়ের উন্নয়ন এবং শান্তিরক্ষায় সকলে হাত মিলিয়ে লড়ব।

বিমলের দাবি, এই তিন বছর দিল্লিতে ছিলেন। শেষ দু’মাস ঝাড়খণ্ডে। রাজভবন সংলগ্ন একটি হোটেলে বসে সাফ জানান, বিজেপির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নেই। পাহাড়ের উন্নতির জন্য নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পালন করেননি। একমাত্র মমতাই কথা রেখেছেন। তাই তিনিই ‘আইডল’।

কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তরবঙ্গ সফর সেরে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বিমল অবশ্য বলেছেন, রাজ্য প্রশাসন বা তৃণমূলের কোনও নেতার সঙ্গে কথা হয়নি। তবে মনেপ্রাণে চাইছেন, গোর্খাল্যান্ড নিয়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। তাঁর এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূলও।

রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মোর্চা বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করায় ক্ষতি হল গেরুয়া শিবিরের। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু আসনেও তৃণমূলের সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ এ উত্তরবঙ্গে পিছিয়ে থাকা ঘাসফুল শিবির যে নতুন করে অক্সিজেন পেল, তা বলাই বাহুল্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #tmc

আরো দেখুন