বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

ফের আশঙ্কা, সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি!

October 24, 2020 | < 1 min read

হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর ১৯ দিন কেটে গিয়েছে। তবু, অবস্থার উন্নতি নয়, বরং আরও অবনতি হল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা। এদিন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে চিকিৎসক অরিন্দম কর বলেন, একই রকম স্নায়বিক সঙ্কটে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আগামীদিনে অভিনেতার চিকিৎসায় বড়সড় পরিবর্তন আনার পক্ষপাতী চিকিৎসকরা। কোভিড রিলেটেড এনসেফালোপ্যাথির কারণে তিনি শনিবারেও আচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন।


শারীরিক অস্থিরতা থাকলেও চেতনা তেমন নেই। অথচ নানা পরীক্ষায় তাঁর মস্তিষ্কে করোনার প্রভাব ছাড়া অন্য কোনও রকম অস্বাভাবিকতার চিহ্ন মেলেনি। তাই অশীতিপর অভিনেতার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড দেশ-বিদেশের নিউরো-ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যদিও আশার কথা, নতুন কিছু ওষুধ সৌমিত্রের চিকিৎসায় যোগ করার পর খুব ধীরে ও সামান্য হলেও তিনি সেই চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্ক ও স্নায়ু বাদ দিলে শরীরের অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ স্বাভাবিক কাজ করছে।

গত ৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মিন্টো পার্ক লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র। পরে করোনামুক্তও হন। কিন্তু এনসেফালোপ্যাথির জেরে শারীরিক অবস্থার ঘোরতর অবনতি হয় ৮৪ বছরের অভিনেতার। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ অরিন্দম কর এদিন সন্ধ্যায় জানান, করোনার সম্প্রসারিত প্রভাব বাদ দিলে এনসেফালোপ্যাথির অন্য কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সংক্রমণ কিংবা গঠনগত কোনও বিচ্যুতি এমআরআই-তে ধরা পড়েনি। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন বিজ্ঞানপত্রিকা থেকে জানা যাচ্ছে, কোভিড রিলেটেড এনসেফালোপ্যাথির জেরে এমন অবস্থা এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। তাই প্রথাগত চিকিৎসার পাশাপাশি অপেক্ষা করা ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কোনও উপায় নেই। সে কথা জানানো হয়েছে অভিনেতার পরিবারকেও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন