দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

খড় ও নাড়া পোড়ানোর অপকার নিয়ে সচেতনতা পদযাত্রা বর্ধমানে

November 5, 2020 | < 1 min read

২০১৯ সালে গ্রীন ট্রাইবুনাল জমিতে নাড়া ও খড় পোড়ানো আইনত দন্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করে। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে অধিক ফলন পেতেই এই নিষেধাজ্ঞা। তবুও কৃষকদের থামানো যাচ্ছে না। বেলাগামভাবে নাড়া ও খড় গোটা রাজ্যেই পোড়ানো হয়।

ধান কাটার পর জমির অবশিষ্ট্য খড় পোড়ানো অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে চাষিদের। তাদের সচেতন করতেই পদযাত্রায় অংশ নিলেন বর্ধমান জেলার পরিবেশপ্রেমীরা। বড়শূলে এদিন এর প্রতিবাদে পদযাত্রা করা হয়।

চাষিদের ধারণা খড় পুড়িয়ে দিলে জমির উর্বরতা বাড়ে। খড়ের ছাই জমির সার হিসেবে কাজ করে। কিন্তু আদতে এর ফলে বেশিরভাগ জমিই তার উর্বরতা হারায়। এছাড়া জমিতে থাকা কেঁচো সহ বিভিন্ন পরিবেশ বন্ধু প্রাণীও মারা যায়। জমি বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই খড় পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণ (Air Pollution) ও বায়ুমণ্ডলে তাপের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। জমিও আগুনে পুড়ে শক্ত হয়ে যায়। এগুলো না পুড়িয়ে জমা করে পচালে তা থেকে জৈব সার তৈরি হবে। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রসঙ্গত, উত্তর ভারতে, বিশেষ করে দিল্লী ও হরিয়ানায়, খড় ও নাড়া পোড়ানোর জন্য বায়ু দূষণ বেড়ে চলেছে।

পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এবছর কালীপুজোয় (kali Puja 2020) বাজি না ফাটানোর আবেদন জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bardhaman, #National Green Tribunal

আরো দেখুন