এই মাসের মধ্যেই খাদ্য দপ্তরে নিয়োগ ১হাজার
করোনা (Covid-19) ও লকডাউনে (Lockdown) বহু মানুষ হারিয়েছেন কাজ। এমন পরিস্থিতিতে করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) আবিষ্কার যতখানি প্রয়োজন, ততখানি কাজের প্রয়োজন অন্নবস্ত্র সংস্থানের জন্য। একদিকে হুহু করে বেড়ে চলেছে মূল্যবৃদ্ধি (Inflation)। দেশের জিডিপি (GDP) প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এর থেকে পরিত্রাণ দিতে নভেম্বর মাসের মধ্যে নিয়োগ (Appointment) প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে তারা। জানা গেছে, গত বছরের খাদ্য দপ্তরের (Food Department) সাব ইন্সপেক্টর (Sub Inspector) পদের সকল পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউয়ের (Interview) প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে, আর যার ফলে প্রায় এক হাজার বেকার যুবক যুবতী নতুনভাবে কাজে যোগ দিতে পারবে।
এই পদে যেখানে রয়েছে বর্তমানে ৬৫০ জন সাব-ইন্সপেকর (SI), সেখানে থাকার কথা প্রায় ২ হাজার ৪০০ জন। তাই এই ঘাটতি মেটাতে সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য দপ্তর। নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (Examination) নেওয়া হয়। এরপর প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা হয় জানা যায়। ইন্টারভিউয়ের নম্বর থাকবে ১৫। লিখিত এবং ইন্টারভিউতে সফল হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের আবারো একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। যার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে জেনারেল ক্যাটাগরিতে (General Category) ইন্টারভিউয়ের জন্য বাছা হয়েছে যে সমস্ত প্রার্থীদের তাদের ন্যুনতম নম্বর রাখা হয়েছে ৭৯ (Cut Off)।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষি (Agriculture) ব্যবস্থায় বেশি জোর দিচ্ছে সরকার। যেহেতু ভারতবর্ষ কৃষি (Farming) প্রধান দেশ এবং তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) কৃষি অনেকখানি নির্ভর রয়েছে, তাই রেশন ব্যবস্থা (Rationing, PDS) পরিচালনা এবং ধান কেনার (Crop Purchase) প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিতে চাইছেন সরকার। আর সেই প্রক্রিয়ায় পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখাশোনার ভার রয়েছে খাদ্য দপ্তরের। সাধারণত খাদ্য দপ্তরের সাব-ইন্সপেক্টর এই কাজ করে থাকেন। তাদের কাজের মধ্যে রেশনের দোকান দেখা, রাইসমিল গুলোর (Rice Mill) খবর রাখা, ধান ক্রয় বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করাই নিয়ম। এবার সেই কাজে যোগ দিতে চলেছেন রাজ্যের যুবক-যুবতীরা।