রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কলকাতার ৪৭ কিমির মধ্যেই তেলের খনি

November 21, 2020 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ dailyhunt

কোভিড (Covid) আবহে জিএসটির (GST) পাওয়া রাজ্যের হাতে তুলে দিতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। তার জেরে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে দাঁড়াতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার এই বিষয়ে সরব হয়ে কেন্দ্রকে তার অবস্থান বদলে কিছুটা হলেও বাধ্য করতে পেরেছেন। এবার এই আবহেও বাংলার জন্য সুখবর শোনালেন দেশের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)।
গতকাল তিনি দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান. আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পেতে চলেছে বাণিজ্যিক খনিজ তেলের বড়সড় ভান্ডার। তার জেরে কার্যত কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেতে চলেছে এ রাজ্যের সরকার। কলকাতা থেকে মাত্র ৪৭ কিমি দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত সদর মহকুমার অশোকনগর থানার বাইগাছি এলাকায় এই বিশাল খনিজ তেলের ভান্ডার মিলেছে কয়েক বছর আগেই। এবার সেখান থেকে বাণিজ্যিক ভাবে তেলের উৎপাদন শুরু হবে।
বাইগাছি এলাকায় অশোকনগর-নৈহাটি জেলা সড়কের ধারেই এই বিশাল খনিজ তেলের ভান্ডার মিলেছে। ওএনজিসি (ONGC) ওই খনিজ তেলের উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই সেখানকার তেল হলদিয়াতে (Haldia) ইন্ডিয়ান অয়েলের তৈল শোধনাগারে পাঠিয়েছিল এটা জানার জন্য যে ওই তেল বাণিজিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব কিনা তা জানতে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান অয়েল (Indian Oil) কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় যে ওই তেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব।
আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই ওই খনিজ তেল উৎপাদনের মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে ওই তেলের উৎপাদন। কার্যত অসমের (Assam) থেকেও বেশি তেল বাইগাছি থেকে উৎপাদিত হবে বলেই মন্ত্রী জানিয়েছেন।
ওএনজিসি সুত্রে জানা গিয়েছে, বাইগাছি থেকে দৈনিক ভিত্তিতে ১ লক্ষ ঘনমিটার গ্যাস ও ১৮ হাজার ঘনমিটার তেল উৎপাদিত হবে। এক ঘনমিটার মানে এক হাজার লিটার। কাজেই কী বিপুল পরিমাণে গ্যাস ও তেল সেখানে মজুত রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
এই তেল উৎপাদনের জন্য অতিমধ্যেই ওএনজিসি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৩ একর জমি পেয়েছে। সেই জমিতেই পরীক্ষানীরিক্ষা স্তরে উৎপাদন চলছিল। এবার এর বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করতে গেলে আরও ২৭ একর জমির প্রয়োজন। সেই জমিই রাজ্যের কাছে চাওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলেই এবিষয়ে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করবে। কেননা একবার এই তেল বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত হতে শুরু করলে রাজ্য সরকার প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্বের মুখ দেখবে। রাজ্যের যে অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে তাও দূর হয়ে যাবে অনেকটাই। এর পাশাপাশি বাইগাছি এলাকায় তৈরি হয়ে যাবে খনিজ তেলের নানা অনুসারী শিল্প। তাতে কাজ পাবেন কয়েক লক্ষ তুরুণ-তরুণী। কার্যত গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অর্থনীতিতেই বড়সড় জোয়ার আসবে যার আঁচ লাগবে কলকাতার অর্থনীতিতেও। সামগ্রিক ভাবে লাভবান হবে রাজ্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Kolkata, #Mamata Banerjee, #Oil, #Dharmendra Pradhan

আরো দেখুন