সাগরমেলা পুণ্যার্থীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বিশেষ সফটওয়্যার জেলা প্রশাসনের
গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। করোনার (Coronavirus) জন্য পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদের নাম, ফোন নং, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য আপলোড করা হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট তীর্থযাত্রীর গতিবিধির উপর নজরও রাখতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এই কাজটি করবে মেলার জন্য গঠিত মেডিক্যাল টিম। সোমবার মেলা নিয়ে জেলা প্রশাসনের মিটিংয়ে একাধিক বিষয় উঠে আসে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পুণ্যার্থীদের গতিবিধির উপর নজর রাখার বিষয়টি। এছাড়াও তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি কোনও পুণ্যার্থী করোনায় আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে তিনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ‘ট্র্যাক’ করতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর জন্য বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড সহ একাধিক জায়গায় স্ক্রিনিং করা হবে তীর্থযাত্রীদের। এই সফটওয়্যার নিয়ে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর (Sagarmela) মেলা হবে কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছিল। রাজ্য সরকার গ্রিন সিগন্যাল দিতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। মেলার জন্য একটি কোভিড ম্যানেজমেন্ট টাস্কফোর্স তৈরি করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাতে সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, পুলিস সহ অন্যান্য পদস্থ কর্তাদের রাখা হবে। থাকবে একটি কুইক রেসপন্স টিম। তারা মূলত এই টাস্কফোর্সের অধীনে কাজ করবে।
পুণ্যার্থী ও করোনা আক্রান্তদের যাতায়াতের জন্য সাগরমেলায় ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স, তিনটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স এবং দুটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকবে। বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। ঠিক হয়েছে, সব মিলিয়ে এমন দশটি সেন্টার তৈরি করা হবে। করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা আসবেন, তাঁদের এই সেন্টারে রাখা হবে। চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের রাখার জন্য মোট আটটি ওয়েলনেস সেন্টার তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করার পর তাঁদের হাতে একটি স্ট্যাম্প মেরে দেওয়া হবে। করোনায় মৃত্যু হলে শেষকৃত্যের জন্য ১১টি জায়গা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই সেই সব স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে করোনা কল সেন্টার খোলা হবে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।