উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কোচবিহারে বিজেপির পাল্টা সভা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের

November 27, 2020 | 2 min read

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) যে মাঠে সভা করে গিয়েছিলেন, সেই মাঠে বৃহস্পতিবার পাল্টা সভা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghsoh)। এদিন বিকেলে ভিড়ে ঠাসা মাঠে সভামঞ্চ থেকে তিনি বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান। বিজেপির ওই সভায় এদিনের মতো এত লোক ছিল না বলে মঞ্চে ভাষণে দাবি করেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী সময় ও করোনা পরিস্থিতিতে স্থানীয় এমপি’কে দেখতে না পাওয়ার অভিযোগও করেন রবিবাবু।

দিন কয়েক আগে মন্ত্রীর বিধানসভা নাটাবাড়ির পানিশালার মহিষবাথান ফুটবল ময়দানে বিজেপি জনসভা করেছিল। সেই মাঠকেই রবিবাবু জনসভার জন্য বেছে নেন। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিনের জনসভার মঞ্চে রবিবাবুর পাশাপাশি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র সুপ্রিয় চন্দ, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক প্রমুখ।

সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে রবিবাবু বলেন, আজকের সভায় আমাদের যে লোক জমায়েত হয়েছে, তার ১০ ভাগের একভাগ লোকও সেদিনের সভায় বিজেপি জমায়েত করতে পারেনি। সেদিন অর্ধেকের বেশি মাঠ ফাঁকা ছিল। ওরা শুধু গর্জন করে গিয়েছে। আসলে যে মেঘ গর্জায়, সেই মেঘ বর্ষায় না। এমন হাবভাব ছিল, যেন ওরা ক্ষমতায় এসেই গিয়েছে। শুধু শপথ বাক্যটি পাঠ করা বাকি ছিল। পানিশালায় সুন্দর রাস্তাঘাট হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। মেডিক্যাল কলেজ বানিয়ে দিয়েছেন। জেলায় সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হয়েছে। নদীর বাঁধ তৈরি হয়েছে। গ্রামে গ্রামে রাস্তা, স্কুল, কলেজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ খেয়ে পড়ে আছেন। মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির এক নেতা হম্বিতম্বি করে বলেছিলেন, আমার নাকি হাত-পা ভেঙে দেবেন। সে তো ভালো কথা। আমি এত লম্বা, কিছুটা পা ভেঙে দিলেও আমি ওই নেতার থেকে উঁচুই থাকব। প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম নিয়েই মন্ত্রী এদিন ওসব কথা বলেন। এমপি নিশীথ প্রামাণিককেও আক্রমণ করেন।

তিনি বলেন, দেড় বছর হল লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এই দেড় বছরের মধ্যে কোনও দিন কোথাও এমপিকে দেখা যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতিতে এক কেজি চাল কি কোথাও তিনি নিয়ে গিয়েছেন? গ্রামের মানুষ কেমন আছে, মরে গিয়েছে না বেঁচে আছে তাও কি উনি দেখতে এসেছেন? মঞ্চ থেকে এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর প্রতিটি প্রশ্নে কখনও হাততালি দিয়ে কখনও হ্যাঁ কিংবা না বলে জবাব দেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

যদিও এসব প্রসঙ্গে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, আসলে মন্ত্রী ভয় পেয়ে গিয়েছেন। এদিনের জনসভার দ্বিগুণ লোক আমাদের সভায় ছিল। এমপি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু দিনহাটাতেই ওঁকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এটা সবাই জানেন। এসব বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে লাভ হবে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#cooch behar, #Rabindranath Ghosh

আরো দেখুন