দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

হলদিয়ায় তৃণমূলের পদযাত্রায় জনপ্লাবন

November 30, 2020 | 2 min read

মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিসে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে হলদিয়ায় যুব তৃণমূলের পদযাত্রায় উপচে পড়ল ভিড়। হাজার হাজার মানুষ এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) নেতৃত্বে কদমতলা থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত পদযাত্রায় শামিল হলেন। মিছিল যত এগিয়েছে, ভিড় ততই বেড়েছে। পদযাত্রা শেষে রাজ্যের দুই মন্ত্রীই দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বেই রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার তৈরি হবে।

শনিবার বিকেলে রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব হলদিয়ায় (Haldia) পদযাত্রা এবং শেষে সভা করার নির্দেশ দিয়েছিল। হলদিয়া শহর যুব তৃণমূল সভাপতি শেখ আসগর আলির উপর এদিনের কর্মসূচির দায়িত্ব পড়েছিল। সেই পরীক্ষায় শিল্পাঞ্চলের ওই যুব নেতা সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে দুই মন্ত্রী সভা থেকেই তাঁকে বাহবা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিকে সামনে রেখে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি কারখানায় তৃণমূল নেতৃত্ব যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিন বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ হলদিয়ার কদমতলা থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। তার আগে কাতারে কাতারে যুব তৃণমূল কর্মী সেখানে জড়ো হন। রবীন্দ্র-নজরুল সরণীতে এই পদযাত্রা ঘিরে কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু মিছিলের নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিল হলদিয়া পুরসভা, এইচডিএ অফিসের সামনে দিয়ে সিটি সেন্টারের দিকে এগিয়ে যায়। রাস্তার দু’দিকে অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল।

এদিন সুজিত বসু (Sujit Bose) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। বিজেপি সব সময় রাজ্যের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। মনে রাখতে হবে, নোটবন্দি থেকে জিএসটি, বিজেপির সবক’টা পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, কন্যাশ্রী থেকে সবুজসাথী, রূপশ্রী প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ পরিবার উপকৃত। ষড়যন্ত্র, আক্রমণ সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয়বার সরকার হবেই। কেউ কেউ বলছে, সোনার বাংলা হবে। আমরা বলছি, সোনার বাংলা করতে হলে উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, অসম, ত্রিপুরাকে করে দেখান। বাংলাকে সোনার বাংলা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষই বাংলা গড়বেন।

তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool) ভাঙার একটা ষড়যন্ত্র চলছে। বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। সাম্প্রদায়িক স্থিতাবস্থা ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলায় সব উৎসব শান্তিতেই হয়েছে। বাংলাকে যাঁরা ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের একত্রিত হতে হবে। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প তিনি নিজেই, আর কেউ নন।

এদিন বনমন্ত্রী রাজীববাবু বলেন, আমরা মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করি। গণতন্ত্রে সর্বশেষ কথা বলেন মানুষ। যদি মানুষের স্বার্থে রাজনীতি না করা হয়, তাহলে সেই রাজনীতির কোনও দাম নেই। অনেকেই আছেন, যাঁরা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে চান। আবার অনেকে শুধু শাসন করতে চান। আমরা কোথাও শাসন করতে চাই না। আমরা মানুষকে পরিষেবা দিতে চাই, তাঁদের সেবা করতে চাই। রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। মানুষকে আঘাত দেওয়ার মতো কোনও কাজ আমাদের করা উচিত নয়। আমাদের প্রতি সমর্থন না থাকলে এতবড় মিছিল করা যায় না। তিনি বলেন, মানুষের সমর্থন নিয়েই চলতে হবে। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যেতে হবে। মানুষের জন্য যিনি কাজ করছেন, তাঁর সঙ্গেই থাকতে হবে। আমরা ন’বছর সরকার চালিয়েছি। আজকে আমরা পরীক্ষিত। আগামী দিনে কাউকে ভরসা করতে হলে সেটা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #tmc

আরো দেখুন