বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

প্রতিবন্ধকতা যাদের আটকে রাখতে পারেনি

December 3, 2020 | 2 min read

প্রতিবন্ধকতা শুধুই একটি মানসিক ধারণা। তা কখনোই মানুষের প্রতিভাকে আটকে রাখতে পারে না। কেউ উদ্ভাবনে তাক লাগিয়েছেন, কেউ দারিদ্রকে জয় করে হয়ে উঠেছেন পেশাদার, কেউ আবার প্রতিবন্ধী হয়েও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে সুনাম কুড়িয়েছেন।

আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে (World Disability Day) জেনে নেব এমন কিছু ভারতীয়ের সম্পর্কে যারা নিজেদের প্রতিভা দিয়ে বিশ্বের দরবারে মুখ উজ্জ্বল করেছেন দেশের:

শুভা চন্দন

এই নৃত্যশিল্পীকে চেনেন না এমন মানুষ খুব কম। এই ৫০ বর্ষীয় শিল্পী, মাত্র ১৬ বছর বয়সে দুর্ঘটনার শিকার হন। ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার কারণে তাঁর একটি পা কেটে বাদ দিতে হয়। কিন্তু তিনি সেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে প্রস্থেটিক পা বা জয়পুর পা লাগিয়েই নৃত্য জগতে হয়ে ওঠেন এক পরিচিত নাম। এখন তিনি ভারতীয় অভিনয় জগতেরও এক পরিচিত মুখ।

রবীন্দ্র জৈন

শৈশব থেকেই চোখে দেখতে না পাওয়া সত্ত্বেও এই প্রতিভাবান শিল্পী সঙ্গীত চর্চায় নিজের জীবনকে লিপ্ত করেন এবং হয়ে ওঠেন ১৯৭০- এর ভারতের এক বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক।

গিরীশ শর্মা

শৈশবেই নিজের একটি পা হারান এই খেলোয়াড়। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতাও তাঁকে দেশের এক নামী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হওয়া থেকে আটকে রাখতে পারেনি। এক পা নিয়েই তিনি দাপিয়ে বেড়ান ব্যাডমিন্টন কোর্ট।

শেখর নায়ক

প্রতিবন্ধকতাকে কি করে সুযোগে পরিণত করতে হয় তা দেখিয়েছেন শেখর নায়ক। তাঁর একনিষ্ঠতাই তাঁকে করে তোলে বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিহীন টিটোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তার সাথেই তাঁর ঝোলায় রয়েছে ৩২ টি সেঞ্চুরি।

এইচ রামকৃষ্ণান

মাত্র আড়াই বছর বয়সেই দুই পায়ে পোলিও-র শিকার হন রামকৃষ্ণান। স্কুলে ভর্তি থেকে চাকরি সবেতেই প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হয়েছেন এই ব্যক্তিত্ব। কিন্তু এরপরেও তিনি জীবনের ৪০ বছর একজন সফল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি এসএস মিউজিক চ্যানেলের কর্ণধার।

প্রীতি শ্রীনিবাসন

অনুর্ধ ১৯ তামিলনাড়ু মহিলা ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন প্রীতি। সাঁতার কাটতে গিয়ে তাঁর বা পা বিকল হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি বহু প্রাণকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি প্রতিবন্ধী মহিলাদেরকে তাদের জীবনের আলোর পথ খুঁজে পেতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সত্যেন্দ্র শিং 

এই প্রতিভাবান ডাক্তার মাত্র ৯ বছর বয়সেই পোলিও রোগের শিকার হন। তিনি আজ সমাজকর্মী হিসেবে অন্যান্যদেরও নিজেদের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে সাহায্য করেন। তাঁর উদ্যাগেই এটিএম, ডাকঘর, হাসপাতালগুলিকে অক্ষম বান্ধব করে তোলা হয়েছে।

সাঁই প্রসাদ বিশ্বনাথন

ছোট বয়সেই তিনি নিজের শরীরের নিচের অংশে অনুভূতি শক্তি হারান। কিন্তু প্রতিবন্ধকতাকে তিনি নিজের ওপর কর্তৃত্ব নিতে দেননি। তিনিই হয়ে ওঠেন ভারতের প্রথম স্কাই ডাইভার। ভারতের প্রথম প্রতিবন্ধী স্কাই ডাইভার হিসেবে ১৪,০০০ ফিট উচ্চতা থেকে ঝাপ দেওয়ার জন্যে স্বর্ণাক্ষরে লিমকা বুক অফ রেকর্ডে নাম লেখা হয় তাঁর।  

অরুণিমা সিনহা

ডাকাতরা চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ায় অরুণিমা পা হারান। কিন্তু তার দুবছর পরেই তিনি বিশ্বের প্রথম পা বাদ পড়া মহিলা এভারেস্ট জয়ী হয়ে ওঠেন। তিনি কখনই কারো সহানুভূতির পাত্র হতে চাননি এবং নিজেকে প্রকৃত অর্থে সক্ষম হিসেবে প্রমাণ করেন।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#World Disability Day

আরো দেখুন