কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

নতুন আরও তিনটি সেতু পাবে কলকাতা, ঘোষণা মমতার

December 4, 2020 | < 1 min read

শহরবাসীকে তিনটি নতুন সেতুর সুসংবাদ শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে নিউ মার্কেট, তারাতলা-টালিগঞ্জ-আনোয়ারশাহ এবং পার্কসার্কাস-বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, এই তিনটি সেতু তৈরি করা হচ্ছে। ওই তিনটি সেতু হলে কলকাতায় যানজট আর প্রায় থাকবেই না বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন বিকেল ঠিক ৫টা ১৯ মিনিটে বোতাম টিপে ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর নবনির্মিত ‘জয় হিন্দ’ (Joy Hind) ব্রিজের উপর নিজেই হেঁটে পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম-সহ অনেক নেতা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রেলকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘রেল অনুমতি দিলে ৯ মাসেই চালু করা যেত ব্রিজ। রেলের কাছে বারবার দরবার করতে হয়েছে। রেল কেন আমাদের কাছ থেকে ৩৪ কোটি টাকা নিয়েছে? রেল কেন আমাদের থেকে টাকা নেবে? আমরা করব, আর নাম কিনবে ওরা? এমনকি টালা ব্রিজ (Tala Bridge) ভাঙতেও টাকা নিয়েছে রেল।’’

এদিকে, এদিন মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে একাধিক টুইট করেন বাংলায় বিজেপির (BJP) পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির চাপে শেষ পর্যন্ত ব্রিজের উদ্বোধন হল। অপর এক টুইটে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ হয়েছিল অবহেলার কারণে। যাঁদের দায়িত্ব ছিল, তাঁদের দায়বদ্ধতা নির্ধারণ করা হয়নি। অবহেলার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার এটাই সময় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল।

প্রসঙ্গত এদিন ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে ব্রিজের অডিট হত না। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। তারপর থেকে এই ব্রিজে নজরদারি করা হয়নি কেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata, #Mamata Banerjee

আরো দেখুন