কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

কৃষকরা আমাদের গর্বঃ তৃণমূল

December 4, 2020 | 2 min read

সিঙ্গুর অনশনের ১৪ বছর পূর্তি এবং চলতি কৃষি আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ও তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সিঙ্গুরের (Singur) সেই অন্ধকার দিনগুলোর কথা মনে করান তিনি। ২৩৫ আসনের মদমত্ততায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কৃষকদের এবং কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কত অসহনীয় অত্যাচার করেছে, সেইসব মনে করান তিনি।

তিনি বলেন, কৃষকদের জন্য লড়াই আমরা ১৫ বছর আগে শুরু করেছি। অনশনের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কৃষকদের দাবি তুলে ধরতে বিডিও অফিসে গেলে, সকলের মাথায় লাঠির বাড়ি মারা হয়। আহত অবস্থায় মাঝরাতে রাস্তায় ফেলে গেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কাকলি বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের তিন কালা কানুনের বিরুদ্ধে হরিয়ানায় চলতে থাকা আন্দোলনে ইতিমধ্যেই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে ফোনের মাধ্যমে কৃষকদের সঙ্গে কথাও বলছেন মমতা।

তিনি বলেন, খুব অন্যায় হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে কৃষক ও দেশের মানুষদের বিরুদ্ধে। বহুজাতিক সংস্থার হাতে দেশ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। দেশের পারম্পরিক বীজ দিয়ে চাষ করতে দেওয়া হবে না এই আইনের ফলে। বহুজাতিক সংস্থার দেওয়া কীটনাশক ভরা বীজ দিয়ে চাষ করতে হবে এই চুক্তির ফলে। এতে কৃষকের জমি, ফসলের বীজ তো নষ্ট হবেই। এর পাশাপাশি এই জেনেটিকালি মডিফায়েড বীজের ফসল খেয়ে মানুষের মধ্যে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বহুগুন। রাস্ত্রায়ত্ব সংস্থা বিক্রির পর, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগ অনুমোদন করার পর এবার কৃষিকেও বিক্রি করা হচ্ছে। দেশে প্রান্তিক চাষির সংখ্যা ৮৬ শতাংশ। বহুজাতিক সংস্থা কোনও অন্যায় করলে কৃষকরা কেস লড়বে না, চাষ করবে?

কাকলি প্রশ্ন করেন, কোন বহুজাতিক সংস্থাকে লাভবান করতে এই আইন আনা হল? তিনি বলেন, এই আইনের ফলে দেশে আবার দুর্ভিক্ষ হবে, বহু মানুষ মারা যাবে। এই আইনগুলোকে অসাংবিধানিক বলেও চিহ্নিত করেন তিনি। সংবিধানের সপ্তম তালিকায় কৃষি রাজ্যের অধীনে। এই নতুন আইন এনে কেন্দ্র অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সমস্ত ক্ষমতা রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে নিজের হাতে কুক্ষিগত করেছে। কৃষক এবং দেশের মানুষের স্বার্থে এই আইনের সর্বস্তরে বিরোধীতা করবে তৃণমূল (Trinamool)।

তিনি বলেন, কেন্দ্রের উচিৎ বাংলাকে দেখে শেখা। ২০১১ সালে যেখানে বাংলার কৃষকদের বার্ষিক গড় আয় ছিল ৯০ হাজার টাকা, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২.৯৭লক্ষ টাকা। কারণ, রাজ্যে কৃষি জমির খাজনা নেই, শস্য বীমার কিস্তি সরকার দেয়, ধানের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কে দেওয়া হয়। এজন্য পরের পর বছর কৃষি কর্মন পুরষ্কার পাচ্ছে রাজ্য। কৃষকরা (Farmers) আমাদের গর্ব। কেন্দ্র বলেছিল ২০২২ সালে দ্বিগুণ করবে কৃষকদের আয়। কিন্তু, ২০২৮ এও তা হবে কিনা? সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#farmers, #Trinamool Bhavan, #Singur Day

আরো দেখুন