২০ লক্ষ কোটি প্যাকেজও জুমলা? আরটিআই অস্বস্তিতে ফেলল মোদী সরকারকে

করোনার সময় লকডাউন চলাকালীন মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ সারা দেশের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজের মূল্যের তুলনায় অনুমোদিত রাশি অনেক কম।
এই আর্থিক প্যাকেজের বিষয়ে বিশদে জানতে পুনেতে বসবাসকারী এক ব্যবসায়ী প্রফুল্ল সারদা একটি আরটিআই করেন। আরটিআই থেকে প্রাপ্ত জবাব হতবাক করে দেয়।
আরটিআইয়ের (RTI) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে জানা যায়, আত্মনির্ভর ভারত অভিযান প্রকল্প খাতে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত প্রাপ্ত তহবিলের পরিমাণ ৩ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে এই পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যকে ১.২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ ১৩০ কোটি দেশবাসীর মাথাপিছু এই অঙ্ক মাত্র ৮ টাকা।
সারদা জানতে চান আট মাস পরেও ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটির বাকি ১৭ লক্ষ কোটি কোথায়? এটাও কি তবে জুমলা ছিল?
আরটিআই থেকে আরও জানা যায়, এই প্রকল্পে রাজ্য হিসেবে সবথেকে বেশি পেয়েছে মহারাষ্ট্র (১৪,৩৬৪.৩ কোটি টাকা)। তারপর পেয়েছে তামিলনাড়ু (১২,৪৪৫.৫০ কোটি টাকা)। এর পরেই আছে গুজরাট। তারা পেয়েছে ১২,০০৫.৯২ কোটি টাকা। এর ঠিক পরেই আছে উত্তরপ্রদেশ (৮,৯০৭.৩৮ কোটি টাকা), রাজস্থান (৭,৪৯০.০১ কোটি টাকা) এবং কর্ণাটক (৭,২৪৯.৯৯ কোটি টাকা)।
সবথেকে কম পেয়েছে যেসব রাজ্য বা, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, সেগুলি হল, লাক্ষাদ্বীপ (১.৬২ কোটি টাকা), লাদাখ (২৭.১৪ কোটি টাকা), মিজোরাম (৩৪.৮ কোটি) টাকা ও অরুনাচল প্রদেশ (৩৮.৫৪ কোটি টাকা)।
সারদা বলেন, ৬ কোটি ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার ফলেই শুধু ১৫ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বর্তমানে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রফুল্ল সারদা বলেন, এখন যদি সবথেকে আগে ঘোষিত প্যাকেজের মূল্যের বাকি রাশি দিয়ে শীঘ্র অর্থনীতি ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়, সেটি হবে দেশের জন্য সবথেকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ।