ভ্রমণ বিভাগে ফিরে যান

বড়দিনের ছুটিতে পাড়ি জমান লেপচাখায়

December 12, 2020 | < 1 min read

আধুনিক জীবন থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে প্রকৃতি ও পাহাড়ের টানে পাড়ি দিলাম লেপচাখা (Lepchakha) ও বক্সা দুর্গ দেখতে। কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ আলিপুরদুয়ার বা আলিপুরদুয়ার জংশন। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে রাজাভাতখাওয়া। এখান থেকে গাড়িতে। চেকপোস্ট থেকে অনুমতিপত্র জোগাড় করে চলুন জয়ন্তী পেরিয়ে সান্ত্রাবাড়ি। এরপর থেকে পদযুগলের ভরসায় চড়তে হবে ৬ কিলোমিটার সিনচুলা পাহাড়। 

নিজের ব্যাগ নিজেকেই বইতে হবে, তাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস গাড়িতে বা জয়ন্তীর হোটেলে রেখে যান। পায়ে যেন অবশ্যই স্নিকার থাকে। জঙ্গলের গাছের ডাল কেটে চারটে ওয়াকিং স্টিক বানিয়ে ফেলা হল। শরীরের কষ্টকে পাত্তা না দিয়ে মনের আনন্দে পথ চলুন। পথ শোভা অতুলনীয়। কত গাছ, নাম না জানা ফুল, পাখি, ফল। 

প্রায় ৪ কিমি চড়াইয়ের পর পৌঁছে যাবেন বক্সা ফোর্ট। দুই-একটা ভাঙাচোরা সেল এখনও মাটির ওপরে আছে। অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের স্মৃতিচিহ্ন কেবল একটা মার্বেল ফলক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর কিলোমিটার দুই চলার পরে হঠাৎ করে এক অসাধারণ সবুজ ঘাসের বুগিয়ালে এসে রাস্তা শেষ হয়ে যাবে।

চতুর্দিকে বিশাল এক অ্যাম্ফিথিয়েটার, যার নীচে ৩,৫০০ ফিটের বিশাল এক খাদ। খাদের অন্য পাশে ভুটান পাহাড়। ডানে বিশাল বিশাল মহীরুহ, জঙ্গল ও নদীবেষ্টিত বক্সা টাইগার রিজার্ভ। থাকার মধ্যে গুটিকয়েক ঘর, দু’টি হোমস্টে- পেমা দ্রুকপা ও টেন্ডু দ্রুকপা-র। একটা ছোট মনাস্ট্রি, একটা ছোট্ট দোকান৷ পাওয়া যায় নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই। 

এখানে বিদ্যুৎ নেই, আলো জ্বলে না, ফ্যান ঘোরে না ও মোবাইলের টাওয়ার নেই। জলের জন্য ঝরনা ও বৃষ্টির জল ভরসা। কিচ্ছু করার নেই,  এই অসম্ভব অনুভূতিটাই এক অলীক সুখের জগতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও পৌঁছে দেবে। মনে হবে স্বর্গ যদি কোথাও থাকে তবে তা এখানেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Travelling, #Lepchakha village

আরো দেখুন