বিজেপির জন্য নিয়ম শিথিল টুইটারের? দাবি তথ্যযাচাই ওয়েবসাইটের
গত ২৭শে নভেম্বর ট্যুইটারে ঝড় বয়ে আনে একটি হ্যাশট্যাগ #TrueIndologyIsBack এর কারণ ছিল একটি সাসপেন্ড হওয়া অ্যাকাউন্টের একই নামে ট্যুইটারে ফিরে আসার জন্য। এই অ্যাকাউন্টটিকে ইতিপূর্বে চিরস্থায়ীরূপে দুবার নিষিদ্ধ করে ট্যুইটার। এই ফিরে আসা উদযাপন করে বিজেপির সমর্থকরা। এর মধ্যেই ১.৭ লক্ষ ফলোয়ার পেয়েছে।
TrueIndology ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের ওপরে হিন্দু ধর্মের স্থান দেখাতে অনেক বিকৃত ইতিহাস বর্ণনা করার জন্য কুখ্যাত। এর আগে হ্যান্ডেলটি যেটি সাসপেন্ড হয়, সেটি ছিল @TIinExile
ট্যুইটার তাদের মাধ্যমকে সকলের জন্য নিরাপদ রাখতে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে থাকে। যেসকল অ্যাকাউন্ট থেকে খারাপ বা, ভুল কিছু পোস্ট করা হয়, সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য।
ট্যুইটারকে ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও কিছুই উত্তর দেয়নি তারা।
এইরকম সাসপেন্ড হওয়া মিথ্যে সর্বস্ব হ্যান্ডেলদের মধ্যে আছে
ট্যুইটার সাসপেন্ড করে @pokershash কে আপ দলের মুখপাত্র প্রীতি মেননকে অপদস্থ করার জন্য
কিন্তু, সেই অ্যাকাউন্ট ফিরে এসেছে @BefittingFacts নামে এবং ৪৬ হাজার ফলোয়ার পেয়েছে।
এর আগে ট্যুইটার দুটি অ্যাকাউন্ট চিরতরে নিষিদ্ধ করে @vibhor_anand এবং @ivibhoranand এখন সেই দিল্লি নিবাসি বিভোর আনন্দ @OfficeofVA ব্যবহার করেন।
গত মাসে মুম্বাইয়ের দায়রা আদালত আনন্দকে জামিন দেয় মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীদের বিষয়ে নীচ মন্তব্য এবং সুশান্ত সিংকে নিয়ে গুজব ছড়ানোর জন্য।
@squintneon খুব পরিচিত মিথ্যে রটানোর জন্য। মুসলিমরা নাগা সাধুদের মেরেছে বলে ২০১৮ সালে গুজব রটায়। পড়ে দেখা যায় এটি সম্পূর্ণ অন্য ঘটনা। ২০১৯এ সাসপেন্ড হওয়ার পর @SquintNayan নামে ফিরে আসে। সেটিও সাসপেন্ড হওয়ার পর @TheSquind নামে ফিরে আসে।
ট্যুইটারে রিপোর্ট ট্যুইট করা যায় কিছু নিয়ম ভাঙলে এবং একবার সাসপেন্ড হওয়ার পর সেই অ্যাকাউন্ট আর ফিরে আসে না। তবে কি বিজেপির জন্য অন্য নিয়ম? উঠছে প্রশ্ন।